সুপ্রিম কোর্টে ট্রাম্পের ক্ষমতার সীমা নির্ধারণে শুরু হচ্ছে বড় আইনি লড়াই
ফেডারেল রিজার্ভ গভর্নর বরখাস্ত থেকে আমদানি শুল্ক পর্যন্ত একাধিক সিদ্ধান্ত নিয়ে আইনি জটিলতায় ট্রাম্প প্রশাসন


এবিএনএ: যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতার সীমা নির্ধারণ নিয়ে বড় আইনি লড়াই শুরু হয়েছে। কারণ সাম্প্রতিক সময়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যে সব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, সেগুলো তাকে একের পর এক আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে।
গত সপ্তাহে ১১১ বছরের ইতিহাসে প্রথমবার ফেডারেল রিজার্ভের একজন গভর্নরকে বরখাস্ত করেন ট্রাম্প। লিসা কুক নামে ওই গভর্নরের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি মনোনয়ন পাওয়ার আগে বন্ধক-সংক্রান্ত কাগজে ভুয়া তথ্য জমা দিয়েছিলেন। তবে কুক অভিযোগ অস্বীকার করে এটিকে অবৈধ ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত পদক্ষেপ বলে দাবি করেছেন। এ বিষয়ে আদালতে শুনানি হলেও এখনও রায় ঘোষণা হয়নি।
অর্থনীতিতে ট্রাম্পের আরেকটি বড় পদক্ষেপ হলো নতুন শুল্ক আরোপ। যুক্তরাষ্ট্রে সব ধরনের আমদানির ওপর ১০ শতাংশ অতিরিক্ত কর বসানোর পাশাপাশি কানাডা, মেক্সিকো, ভারত ও চীনের পণ্যের ওপরও বিশেষ শুল্ক আরোপ করেছেন তিনি। কিন্তু ফেডারেল আপিল আদালত এই সিদ্ধান্তকে অবৈধ ঘোষণা করে জানিয়েছে, কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়া প্রেসিডেন্ট এককভাবে কর আরোপ করতে পারেন না।
রবিবার ট্রাম্প প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, তিনি এই রায় সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করবেন। আদালতের রায়কে তিনি ‘র্যাডিকাল লেফটের ষড়যন্ত্র’ বলে অভিহিত করে দাবি করেন, “শুল্ক ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র টিকতে পারবে না, ধ্বংস হয়ে যাবে।”
এদিকে বিদেশি সহায়তা আটকে রাখার বিষয়েও ট্রাম্প প্রশাসন নতুন জটিলতার মুখে পড়েছে। সবকিছু মিলিয়ে, সুপ্রিম কোর্টের সামনে এখন অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ হলো—মার্কিন প্রেসিডেন্টের নির্বাহী ক্ষমতার প্রকৃত সীমা কোথায় নির্ধারণ হবে তা স্থির করা।