“যাদের ভোটে হার নিশ্চিত, তারাই আনুপাতিক নির্বাচনের বুলি কপচায়” — সালাহউদ্দিন আহমদ
সংস্কার ও বিচার ছাড়া নির্বাচন নয়—এই দাবির আড়ালে জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়ার ভয়ে পিআর নির্বাচনের কথা বলছে অনেকে, মন্তব্য বিএনপি নেতার


এবিএনএ: জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিয়ে পরাজিত হওয়ার আশঙ্কায় যাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি, তারাই সংখ্যানুপাতিক বা পিআর (প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন) নির্বাচন চায়— এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
শনিবার (৫ জুলাই) ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত বিএনপির এক সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন। বক্তব্যে তিনি বর্তমান নির্বাচন প্রক্রিয়া ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পথ রুদ্ধ করার কৌশল হিসেবে পিআর নির্বাচনের দাবিকে আখ্যায়িত করেন।
তিনি বলেন, “যারা বলছে নির্বাচন করবো না, কমিশন ঠিক না, পরিস্থিতি ঠিক না—তারা আসলে নির্বাচন নয়, নিজেদের ভবিষ্যৎ জামানত নিয়ে চিন্তিত। আমরা যখন বলি বিচার চাই, সংস্কার চাই—তারা তখন বলে, বিচার বিলম্বিত করছো। অথচ তারাই নির্বাচনে এলে জামানত রাখার অবস্থায় নেই।”
সালাহউদ্দিন আহমদ এনসিপি নেতাদের দিকেও ইঙ্গিত করে বলেন, “এই পিআর নির্বাচনের ধুয়ো যারা তুলে, তারা কি আদৌ জানেন সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন কীভাবে কাজ করে? শুধু বলছেন জনগণ নাকি তা চায়—আসলে নিজেরাই জানেন না এর প্রকৃতি।”
তিনি আরও বলেন, “চেতনার কথা এখন আর বিক্রি করে লাভ নেই। চেতনা শেখ মুজিব বা শেখ হাসিনার রাজনৈতিক ভাষ্য ছিল। এখন সময় গণতন্ত্রের। জুলাইয়ে স্বাধীনতার জন্য শুধু আপনারা নন, বিএনপির নেতাকর্মীরাও জীবন দিয়েছে।”
আওয়ামী লীগের সহযোগী হিসেবে পরিচিত অনেকেই এখন সংস্কারের নাম করে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে চায়—এমন মন্তব্য করে সালাহউদ্দিন বলেন, “দিনশেষে খেয়ে-দেয়ে সন্ধ্যায় বিদায় নেয়, আর আমাদের ওপর খোঁটা দেয়। নির্বাচন নিয়ে টালবাহানা করে বিনা ভোটে ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করা যাবে না।”
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “যতই দেরি হোক, গণতন্ত্রের পথে ফিরতেই হবে। প্রয়োজন হলে আবারও আন্দোলন হবে, দাবি একটাই—সংস্কার করে সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করুন।”
এই বক্তব্যের মাধ্যমে বিএনপি স্পষ্ট করে দিল যে, আনুপাতিক নয়—তারা জনগণের ভোটে নির্ভর করে প্রকৃত নির্বাচন চায়, যেখানে প্রতিযোগিতা হবে স্বচ্ছ, আর ফলাফল নিরপেক্ষ।