অপরিণত ব্যাটিংয়ে প্রথমদিনেই চাপে বাংলাদেশ, লঙ্কানদের হাতে ম্যাচের রাশ
কলম্বো টেস্টের প্রথম দিনেই উইকেট বিলিয়ে দিয়ে ব্যাকফুটে বাংলাদেশ, বৃষ্টিবিঘ্নিত দিনে রান মাত্র ২২০


এবিএনএ: বাংলাদেশের টেস্ট ব্যাটিং দুর্বলতা যেন পুরনো ব্যাধির মতো ফিরে আসে বারবার। কলম্বো টেস্টেও তার ব্যতিক্রম হলো না। প্রথম দিনে সুবিধাজনক অবস্থানে থাকলেও একের পর এক দায়িত্বহীন শটে সাজঘরে ফিরেছেন ব্যাটাররা। ফলাফল—বৃষ্টিতে কমে আসা দিনে ৮ উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ মাত্র ২২০ রান।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশের শুরু থেকেই হোঁচট খাওয়া শুরু। এনামুল হক বিজয় দশ বল খেলেও রানে খাতা খুলতে ব্যর্থ হন। দু’বার জীবন পেয়েও ‘প্লেড অন’ হয়ে ফেরেন তিনি। গল টেস্টেও প্রথম ইনিংসে শূন্য রানে ফেরার পরেও তাকে সুযোগ দেওয়ায় প্রশ্ন উঠেছে নির্বাচকদের কৌশল নিয়ে।
দ্বিতীয় উইকেটে সাদমান ইসলাম ও মুমিনুল হক সামান্য প্রতিরোধ গড়লেও সেটি ভেঙে যায় পার্ট টাইম স্পিনার ধনাঞ্জয়ার হাতে। এরপর শান্ত ও সাদমান দুই রানের ব্যবধানে আউট হয়ে মধ্যাহ্নভোজ পরবর্তী সময়ে চাপ বাড়িয়ে দেন। সাদমান তুলনামূলক ভালো ব্যাটিং করলেও ৪৬ রান করে তিনিও বিদায় নেন।
সবচেয়ে আশাব্যঞ্জক জুটি গড়েন মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস। তাদের ব্যাটে আসে ৬৭ রান। কিন্তু মুশফিক সুইপ শটে ৩৫ রানে আর লিটন ৩৪ রানে বাজে শটে আউট হন। এই দুই উইকেট পতনেই ভেঙে পড়ে দলের মনোবল।
শেষ দিকে মেহেদী মিরাজ ওয়ানডে ধাঁচে ব্যাট চালাতে গিয়ে ৩১ রানে ফিরলে হতাশা আরও বাড়ে। ব্যাট ছুঁড়ে নিজের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন মিরাজ, যা তার আত্মগ্লানিরই বহিঃপ্রকাশ। তবে নাঈম হাসানের ২৫ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংসে দুইশ’ পেরোয় দল।
লঙ্কানদের হয়ে সেরা ছিলেন অভিষিক্ত সুনীল দিনুশা, যিনি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট নেন মুশফিক ও লিটনের। এছাড়া ফার্নান্দো-দ্বয়ের পেস জুটি এবং ধনাঞ্জয়া-থারিন্ডুর স্পিন আক্রমণ ছিল কার্যকর।
বৃষ্টির কারণে খেলা থেমে থাকায় দ্বিতীয় দিন ম্যাচ শুরু হবে নির্ধারিত সময়ের ১৫ মিনিট আগে। বাংলাদেশ দল এখন দ্বিতীয় দিনের দিকে তাকিয়ে, যেখানে তাদের বোলারদের দায়িত্ব নিতে হবে লঙ্কানদের চাপের মুখে ফেলার জন্য।
Share this content: