টিআইবি প্রধানের মন্তব্য: “সবাই জানে এনসিপি হচ্ছে কিংস পার্টি”
টিআইবির গবেষণা প্রতিবেদনে নতুন রাজনৈতিক দল গঠনে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগ, এনসিপিকে ইঙ্গিত করে স্পষ্ট মন্তব্য করলেন ইফতেখারুজ্জামান


এবিএনএ: সরকারের ছত্রছায়ায় একটি রাজনৈতিক দল গড়ে ওঠেছে—এমন অভিযোগ তুলে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) তাদের সাম্প্রতিক গবেষণা প্রতিবেদনে যে দলটির প্রতি ইঙ্গিত করেছে, সেটি ‘সবাই জানে’—এনসিপি, এমন মন্তব্য করেছেন সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।
সোমবার (৪ আগস্ট) ঢাকার ধানমন্ডিতে টিআইবির কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে “কর্তৃত্ববাদী সরকার পতন-পরবর্তী এক বছর: প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি” শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। এ সময় এক সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে ইফতেখারুজ্জামান বলেন,
“এটা আর গোপন কিছু নয়—সবাই জানে এনসিপি হচ্ছে সেই ‘কিংস পার্টি’। দলটির সঙ্গে সরকারের উপদেষ্টাদের সরাসরি সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, একজন উপদেষ্টা পদ ছেড়ে সরাসরি দলের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন, আর বাকি দুইজন রয়েছেন সরকারের বর্তমান উপদেষ্টা পদে—এ থেকেই প্রমাণ হয় কারা কাদের সহযোগিতায় রাজনীতির নতুন মোড় তৈরি করেছে।
প্রতিবেদনে উঠে এসেছে আরও নানা বিষয়
টিআইবির গবেষণায় বলা হয়েছে,
– দলটি গঠিত হয়েছে একটি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ছায়া থেকে।
– জনগণের কাছে জবাবদিহি, সুশাসন ও স্বচ্ছতার যে প্রত্যাশা ছিল, তা পূরণ হয়নি।
– অর্থের উৎস অস্বচ্ছ, দখলদারিত্ব, দলবাজি, এবং চাঁদাবাজির মতো অপরাধমূলক সংস্কৃতি ধারণ করছে।
– এর মাধ্যমে আত্মঘাতী পথে হাঁটছে নতুন রাজনৈতিক শক্তি।
এছাড়া, প্রতিবেদনে দাবি করা হয়,
“নির্বাচনের কোনো সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ না থাকায় রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হয়েছিল। এখন একটি রোডম্যাপ থাকলেও পরিস্থিতি যে পুরোপুরি স্থিতিশীল, তা বলা যায় না।”
সতর্কতা টিআইবির
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হওয়ার প্রক্রিয়াটি রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে নতুন সংকট তৈরি করতে পারে বলেও প্রতিবেদনে সতর্ক করা হয়েছে।
বিচারব্যবস্থা, নির্বাচন ও প্রশাসনে যেসব সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তা বাস্তবায়নে অনেক ঘাটতি দেখা গেছে বলে মন্তব্য করা হয়।
ইফতেখারুজ্জামান বলেন,
“একটি দায়িত্বশীল, জবাবদিহিমূলক এবং দুর্নীতিমুক্ত সরকার গঠনের যে প্রত্যাশা ছিল, তা এখনো বাস্তবতার মুখ দেখেনি।”