তারেক রহমানের ঘোষণা: কৃষকের হাতকে আরও শক্তিশালী করবে বিএনপি
বিশ্ব খাদ্য দিবসে বাণীতে তারেক রহমানের ৬ দফা কৃষি পরিকল্পনা—ডিজিটাল পরিচয়, সেচব্যবস্থা ও নতুন কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি


এবিএনএ: বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষে কৃষকদের গুরুত্ব তুলে ধরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, বাংলাদেশের শক্তি নিহিত আছে সেই কৃষকের হাতে, যারা প্রতিদিন এই মাটিকে জীবন্ত রাখে। বিএনপি সেই হাতগুলোকে আরও শক্তিশালী করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যাতে কৃষকরাই আগামী বাংলাদেশের উন্নয়ন ও খাদ্য নিরাপত্তার চালিকাশক্তি হয়ে উঠতে পারেন।
বৃহস্পতিবার দেওয়া এক বাণীতে তিনি বলেন, “একটি অনিশ্চিত বিশ্বে বাংলাদেশ প্রমাণ করতে পারে যে খাদ্য নিরাপত্তা, টেকসই উন্নয়ন ও কৃষকের মর্যাদা কোনো স্বপ্ন নয়, বরং তা অর্জনযোগ্য বাস্তব।”
তিনি জানান, বিএনপি নতুন প্রযুক্তি, জ্ঞান ও উদ্ভাবনী চিন্তার মাধ্যমে একটি অংশীদারিত্বভিত্তিক খাদ্য ব্যবস্থার স্বপ্ন দেখে। এই ব্যবস্থায় কৃষককে সম্মান দেওয়া হবে, প্রযুক্তিকে কাজে লাগানো হবে এবং বৈশ্বিক দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করা হবে—যাতে পুষ্টিসমৃদ্ধ ও নিরাপদ বাংলাদেশ বিশ্বে উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারে।
তারেক রহমান এই লক্ষ্যে ছয়টি মূল কর্মপরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন—(১) কৃষকের কার্ড উদ্যোগ, (২) জলবায়ু সহনশীল কৃষি, (৩) পানি নিরাপত্তা ও সংরক্ষণমূলক কৃষি, (৪) পুষ্টি ও মানব উন্নয়ন, (৫) কৃষিভিত্তিক অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন এবং (৬) পরিবেশ ও টেকসই উন্নয়ন।
তিনি জানান, প্রত্যেক কৃষককে দেওয়া হবে একটি নিরাপদ ডিজিটাল পরিচয়পত্র। এর মাধ্যমে তারা মধ্যস্বত্বভোগী ছাড়াই সরাসরি ভর্তুকি, ঋণ, ফসল বীমা, ন্যায্যমূল্য ও সরকারি ক্রয় সুবিধা পাবেন। এছাড়া ২০ হাজার কিলোমিটার নদী-খাল পুনরুদ্ধার, সম্প্রদায়ভিত্তিক সেচব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তন এবং আধুনিক তিস্তা ও গঙ্গা ব্যারাজ নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
তারেক রহমান বলেন, “আমাদের পরিকল্পিত উদ্যোগগুলো কৃষি ও প্রক্রিয়াজাত খাতে ১৩ লাখ নতুন কর্মসংস্থান তৈরি করবে, যা গ্রামীণ অর্থনীতিকে নতুন গতি দেবে।”
তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান যখন নেতৃত্ব গ্রহণ করেন, তখন দেশ দুর্ভিক্ষে জর্জরিত ছিল। তাঁর নেতৃত্বেই সেচব্যবস্থা সম্প্রসারণ, খাল পুনঃখনন ও বহুবর্ষজীবী ফসল চাষের মাধ্যমে বাংলাদেশ আত্মনির্ভরতার পথে এগিয়ে যায়। সেই আদর্শেই বিএনপি কৃষকের পাশে থেকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ বাংলাদেশ গড়তে চায়।




