রাজনীতি

নির্বাচনের নামে নাটক করছে সরকার: নতুন বাংলাদেশের ডাক বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিনের

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, গণতন্ত্র, সুষ্ঠু নির্বাচন ও নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার সময় এসেছে

এবিএনএ, ঢাকা:

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, “আমরা কখনোই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগ চাইনি, আমরা চেয়েছিলাম একটি নির্দিষ্ট রোডম্যাপ। কিন্তু সরকার নাটক করে পদত্যাগ দেখিয়ে পরিস্থিতিকে অন্য দিকে ঘুরিয়ে দিয়েছে। আমাদের লক্ষ্য ছিল ডিসেম্বরের মধ্যেই সুষ্ঠু নির্বাচন।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা চাই একটি নিরপেক্ষ সরকার, একটি কার্যকর গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা। এজন্য সবাইকে একসাথে হতে হবে। দল-মত নির্বিশেষে আমাদের প্রথম অগ্রাধিকার হওয়া উচিত—বাংলাদেশ। তারেক রহমানের নেতৃত্বে ভবিষ্যতের বাংলাদেশ হবে এক নতুন ও উন্নত বাংলাদেশ।”

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত তারুণ্যের সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের উদ্যোগে ঢাকা, ময়মনসিংহ, সিলেট ও ফরিদপুর বিভাগের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে “তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠা” শীর্ষক এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “আমরা এমন একটি রাষ্ট্র চাই, যেখানে তরুণরা সিদ্ধান্ত গ্রহণে অংশ নেবে। ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী আমরা একটি নতুন রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে এগোচ্ছি। কিন্তু সরকার অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে বিরোধী ঐক্যে ভাঙন ধরানোর চেষ্টা করছে। ফ্যাসিবাদী সরকারের নির্যাতন ও দুর্নীতি আমরা ভুলে যাচ্ছি। অথচ গণতন্ত্রের জন্য আমরা অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছি। এখনই সময় একজোট হওয়ার।”

আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে সালাহউদ্দিন বলেন, “ব্রিটিশ আমলে ২০০ বছরে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি যত সম্পদ লুট করেছে, আওয়ামী লীগ তার চেয়েও বেশি লুটপাট করেছে। তারা ৩০ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে, ব্যাংক থেকে ৪ লাখ কোটি টাকার ঋণ খেলাপি হয়েছে, এবং বিদ্যুৎ ও ব্যাংক খাতেও ভয়াবহ দুর্নীতি হয়েছে। ওই টাকা দিয়ে ৩৬টি পদ্মাসেতু তৈরি করা যেত। আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না, তারা গণতন্ত্র ধ্বংসকারী।”

তিনি আরও বলেন, “আজ যারা তারেক রহমানের নেতৃত্বে আন্দোলনে অংশ নিচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে বলা হচ্ছে তারা নাকি বিদেশি এজেন্ট। আসলে এসব কথা বলছে তারাই, যারা গণতন্ত্র ও পরিবর্তনের পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে।”

তারুণ্যের এই সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি মোনায়েম মুন্না। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান ও ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির।
বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ আরও অনেকে।

এই সমাবেশে বিএনপির পক্ষ থেকে একটাই বার্তা—গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

Share this content:

Back to top button