আমেরিকা

হিলারির জনসভায় দ্যুতি ছড়ালেন মিশেল

এবিএনএ : বৃহস্পতিবার একই মঞ্চে ছিলেন দু’জন ফাস্ট লেডি। এদের একজন যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্রেটিক দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন। তবে স্পষ্টতই তিনি ছিলেন দ্বিতীয়। হিলারি নিজেই দিলেন এমন স্বীকারোক্তি- ‘ সিরিয়াসলি বলছি, মিশেল ওবামার চেয়ে অনুপ্রেরণাদানকারী আর কেউ আছেন কি?’

নর্থ ক্যারোলাইনায় একটি বাস্কেটবল এলাকায় প্রথমবারের মতো নির্বাচনী প্রচারণায় একমঞ্চে ওঠেন হিলারি ও মিশেল। এ সময় সেখানে গাদাগাদি করে ঠাঁই নিয়েছিলেন ১১ হাজার ভোটার। হিলারির সরল মন্তব্যে সম্ভবত সবারই সায় ছিল। তাই তো প্রথা ভেঙে হিলারি আগে ভাষণ দেন, যিনি হয়তো আর কয়েকদিন পরে নির্বাচনী জয়ী হতে যাচ্ছেন। এতে বোঝা যায়, আলোচিত এ সভার প্রধান আকর্ষণ হিলারি ছিলেন না, ছিলেন মিশেল- যাকে বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় ডেমোক্রেটিক নেতা বলে মনে করা হয়। হিলারি হয়তো মনে করছেন যে, নির্বাচনে জয়ী হওয়ার জন্য তার নিজের জনপ্রিয়তাই যথেষ্ট নয়। তাই অগ্নিকন্যাখ্যাত সিনেটর এলিজাবেথ ওয়ারেন ও প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে যুক্ত করছেন তার সভা-সমাবেশে। তাদের উপস্থিতিতে সম্প্রতি দুটি সমাবেশে উপস্থিতি ছিল অস্বাভাবিক রকমের বেশি। এতে আয়োজকরা অনুষ্ঠানের নির্ধারিত স্থানের বাইরে নিয়ে যেতে বাধ্য হন। ক্লিনটন আগের যে কোনো সময়ের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারাভিযানের তুলনায় বহু তারকা সহযোগীকে জড়ো করেছেন। তবে ২০১৬ সালের নির্বাচনী প্রচারে আসল তারকা মনে করা হচ্ছে মিশেলকে।

হিলারির মুখপাত্র বেইন ফ্যালন তাই তো তাকে ‘চূড়ান্ত রক স্টার’ বলে মন্তব্য করেছেন। ডেমোক্রেটিক দলের জাতীয় সম্মেলনে মিশেলের দেয়া বক্তব্য- ‘তারা (রিপাবলিকানরা) যত নিচে নামবে আমরা ততই উঁচুতে উঠব’, এবারের হিলারির প্রচারণার মূলমন্ত্র। আশা করা হচ্ছে, হিলারিও ভবিষ্যতে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হবেন। তবে ওবামার ঘনিষ্ঠজনরা এমন সম্ভাবনা নিয়ে এখনই কথা বলতে নারাজ।

বৃহস্পতিবারের সমাবেশে মিশেল ভাষণ দিতে গেলে তা বাধাগ্রস্ত হয়। সমর্থকের ‘মিশেল আমরা তোমায় ভালোবাসি’ বলে দেয়া মুহুর্মুহু স্লোগানে। তাই তো বন্ধু মিশেলের প্রশংসা করার সুযোগ হাতছাড়া করলেন না হিলারিও। এ সুযোগে তিনি বলেন, মিশেল হোয়াইট হাউসের সাউথ লনে যে সবজির বাগান বানিয়েছেন তিনি জয়ী হলে তার যত্ন নেবেন। তিনি মিশেলের নাচেরও প্রশংসা করেন। তিনি মিশেলকে এক অসাধারণ নারী বলে মন্তব্য করেন। পডিয়ামে দাঁড়িয়ে মিশেল বলেন, হিলারির প্রশংসায় তিনি লাইনচ্যুত হয়ে গেছেন। কিন্তু পরক্ষণেই তিনি হিলারির প্রশংসায় মেতে ওঠেন এবং তাকে আমার বালিকা বলে সম্বোধন করেন।

জনমত জরিপ অনুসারে আমেরিকার সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব মিশেল বলেন, ‘লোকজন অবাক হয়, হ্যাঁ, হিলারি ক্লিনটন আমার বন্ধু। তিনি অন্য কোনো প্রার্থীর চেয়ে বেশি যোগ্য।’ মিশেল বলেন, কোনো রাজনীতিক হিসেবে নয়, একজন মা হিসেবে তিনি এমন একজনকে সর্বাধিনায়ক পদে দেখতে চান যিনি তার মেয়েদের কাছে রোল মডেল। তিনি ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেয়ার অনুরোধ জানান এবং বলেন, শুধু ভোট দিলেই দায়িত্ব শেষ হবে না। বেশি সংখ্যায় ভোট যাতে পড়ে তা নিশ্চিত করার জন্য স্বেচ্ছাসেবী হতে হবে আপনাদের।

Share this content:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button