টুকুর অভিযোগ: মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারীরা এখন ইতিহাসকেই চ্যালেঞ্জ করার সাহস পাচ্ছে
জামালপুর জেলা বিএনপির ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, মুক্তিযুদ্ধবিরোধীরাই এখন মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে প্রশ্ন তুলছে


এবিএনএ: জামালপুরে অনুষ্ঠিত জেলা বিএনপির ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু অভিযোগ করে বলেন, যারা একসময় মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল, তারাই আজ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে চ্যালেঞ্জ করার সাহস পাচ্ছে। তার মতে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বের কারণেই এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
টুকু বলেন, “যুদ্ধ না হলে স্বাধীন ভূখণ্ড আসতো না, জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা না দিলে বাংলাদেশ গড়ে উঠতো না। অথচ আজ এই রাষ্ট্রকে ব্যক্তিগত সম্পত্তির মতো ব্যবহার করা হচ্ছে। কেউ কেউ বলছে ’২৪ সালের আন্দোলন দ্বিতীয় স্বাধীনতা। কিন্তু স্বাধীনতা একবারই হয়, আমাদের মানচিত্র দিয়েছে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধই।”
শনিবার বিকেলে শহরের বেলটিয়া এলাকায় আয়োজিত এ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরও সমালোচনা করেন প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন (পিআর) ভোট পদ্ধতির। তার ভাষায়, “বাংলাদেশের মানুষ চায় তাদের প্রার্থীকে দেখতে, তাকে চিনতে। কিন্তু এই পিআর পদ্ধতি বাস্তবে গ্রহণযোগ্য নয়। যারা এই শর্ত চাপাচ্ছে, তারা ’৪৭ সালেও দ্বিচারিতা করেছে, পাকিস্তানের সময়েও গণতন্ত্রকে বাধাগ্রস্ত করেছে এবং মুক্তিযুদ্ধেও স্বাধীনতার বিপক্ষে ছিল।”
জামালপুর জেলা বিএনপির এ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন জেলা সভাপতি ফরিদুল কবির তালুকদার শামীম। উদ্বোধনী বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল। এছাড়া সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত, মো. শরিফুল আলম, অ্যাডভোকেট শাহ মো. ওয়ারেছ আলী মামুন, আবু ওয়াহাব আকন্দসহ শীর্ষস্থানীয় নেতারা বক্তব্য দেন।
প্রায় নয় বছর পর আয়োজিত এই সম্মেলনে সাত উপজেলা ও আট পৌর শাখা থেকে এক হাজার ৫১৫ জন কাউন্সিলরসহ কয়েক হাজার নেতাকর্মী অংশ নেন। দীর্ঘ বিরতির পর আয়োজিত এই সম্মেলন ঘিরে নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ, উদ্দীপনা এবং উৎসবের পরিবেশ লক্ষ্য করা যায়।