

এবিএনএ: গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পূর্বঘোষিত লং মার্চ ও সমাবেশ ঘিরে চরম সহিংসতায় রূপ নেয় পরিস্থিতি। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনজন নিহত হয়েছেন। প্রশাসন জারি করেছে কারফিউ, মাঠে নেমেছে সেনাবাহিনী।
বুধবার (১৬ জুলাই) বিকেলে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়, যখন সমাবেশ শেষে ফিরে যাওয়ার সময় এনসিপির গাড়িবহরে হামলা চালায় আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। সংঘর্ষে নিহতরা হলেন—ইমন তালুকদার (১৮), রমজান কাজী (২২) ও দীপ্ত সাহা (২৫)। নিহতদের শরীরে গুলির চিহ্ন রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল।
হামলার কেন্দ্রবিন্দু ছিল শহরের লঞ্চঘাট এলাকা, যেখানে দুপুর তিনটার দিকে গাড়িবহর অবরুদ্ধ করে হামলা হয়। এনসিপির সমাবেশের মঞ্চে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। ইউএনওর গাড়িবহরেও হামলা চালানো হয়েছে।
বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সেনাবাহিনী মাঠে নামলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। প্রশাসন সন্ধ্যা ৮টা থেকে পরদিন সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কারফিউ জারি করেছে এবং শহরজুড়ে ১৪৪ ধারা কার্যকর করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, পুরো গোপালগঞ্জ শহরজুড়ে চলছে সংঘর্ষ, রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয়েছে গাছের গুঁড়ি ও ব্যারিকেড। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এনসিপির শীর্ষ নেতারা আপাতত নিরাপত্তার কারণে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে অবস্থান করছেন।
উল্লেখ্য, জুলাই মাসজুড়ে পদযাত্রা ও গণসমাবেশের কর্মসূচি নিয়ে দেশজুড়ে আলোচনায় রয়েছে এনসিপি। গোপালগঞ্জ ছিল তাদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ গন্তব্য, যা শেষ পর্যন্ত ভয়াবহ সংঘর্ষে রূপ নেয়।
🔴 সাম্প্রতিক এই ঘটনায় রাজনৈতিক উত্তেজনা আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। প্রশাসন বলছে, সহিংসতায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।