নগর ভবনে ইশরাক সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, সাংবাদিককে ছুরি দেখিয়ে হত্যার হুমকি!
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ইশরাক হোসেনের সমর্থিত শ্রমিক দলের দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তপ্ত সংঘর্ষ, সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হয়ে মোবাইল ছিনিয়ে নেন অনুসারীরা


এবিএনএ: ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নগর ভবনে মঙ্গলবার দুপুরে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের ঘনিষ্ঠ শ্রমিক দলের দুই গ্রুপের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষ ঘটে। এ সময় সংঘর্ষ কাভার করতে যাওয়া একাধিক সাংবাদিক আক্রান্ত হন, এমনকি একজনকে ছুরি দেখিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের তথ্য অনুযায়ী, দুপুর ১২টার দিকে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক আরিফুজ্জামান প্রিন্স তার সমর্থকদের নিয়ে নগর ভবনে প্রবেশ করলে সেখানে উপস্থিত দলের আরেক পক্ষের নেতা আরিফ চৌধুরীর অনুসারীদের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডা শুরু হয়। মুহূর্তেই তা রূপ নেয় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায়। দুই পক্ষের কয়েকজন আহত হলেও তাদের পরিচয় নিশ্চিত করা যায়নি।
পরে দেখা যায়, আরিফুজ্জামানের অনুসারী সন্দেহে নগর ভবনের এক কর্মী শেখ মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলামকে মারধর করা হয়। পুলিশ হস্তক্ষেপ করলেও ইশরাক সমর্থকরা তাকে পুলিশের কাছে তুলে দিতে অস্বীকৃতি জানান। একইভাবে আরেক ব্যক্তিকেও প্রিন্সের অনুসারী সন্দেহে গণপিটুনির শিকার হতে হয়। পুলিশ পরে দুইজনকেই উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
ঘটনার বিষয়ে আরিফুজ্জামান প্রিন্স দাবি করেন, নগর ভবনে তাদের শান্তিপূর্ণ প্রবেশকে প্রতিহত করতে প্রতিনিয়ত বহিরাগতরা হুমকি ও হামলার চেষ্টা চালাচ্ছেন। তিনি জানান, তারা একত্রে প্রবেশের চেষ্টা করলেই প্রতিপক্ষ অতর্কিত হামলা চালায়।
অন্যদিকে, আরিফ চৌধুরীর ভাষ্যমতে, তারা শান্তিপূর্ণভাবে নগর ভবনে অবস্থান করছিলেন। কিন্তু ইশরাক হোসেনের নেতৃত্বে বহিরাগত কিছু ব্যক্তি এসে তাদের ওপর হামলা চালিয়ে অন্তত আটজনকে আহত করে।
এই সংঘর্ষ চলাকালে সংবাদ সংগ্রহে থাকা সাংবাদিকদেরও ছাড় দেওয়া হয়নি। নাগরিক টেলিভিশনের রিপোর্টার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান শিশির জানান, তিনি ভিডিও ধারণ করছিলেন, এমন সময় তার মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে সব ছবি ও ভিডিও মুছে ফেলা হয়। এমনকি তাকে ছুরি দেখিয়ে ভয় দেখানো হয়।
এনটিভির রিপোর্টার নাজিবুর রহমানও জানান, তাকে এবং তার ক্যামেরাম্যানকে ভয় দেখিয়ে ভিডিও ধারণ থেকে বিরত রাখা হয়।
এই ঘটনায় নগর ভবনে নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। সাংবাদিকদের নিরাপত্তা এবং তথ্য সংগ্রহের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের অভিযোগ উঠেছে ইশরাকপন্থীদের বিরুদ্ধে।
Share this content: