আন্তর্জাতিক

শি জিনপিংয়ের আমন্ত্রণে চীন সফরে কিম-পুতিনসহ ২৬ বিশ্বনেতা, অনুপস্থিত পশ্চিমা দেশগুলো

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তির ৮০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত বেইজিং সামরিক কুচকাওয়াজে কিম জং উন ও ভ্লাদিমির পুতিনসহ ২৬ নেতা যোগ দিচ্ছেন।

এবিএনএ: চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের আমন্ত্রণে আগামী সপ্তাহে বেইজিং সফরে যাচ্ছেন উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উন। দীর্ঘ ছয় বছর পর তিনি চীন সফরে যাচ্ছেন এবং এটি হবে ২০১৯ সালের পর তার প্রথম চীন সফর। সফরের অংশ হিসেবে তিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তির ৮০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত সামরিক কুচকাওয়াজে অংশ নেবেন।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ কুচকাওয়াজে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনসহ মোট ২৬ জন বিদেশি নেতা উপস্থিত থাকবেন। তবে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্বের কোনো শীর্ষ নেতা এতে অংশ নিচ্ছেন না।

কিম জং উন ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর এটি হবে বহুপাক্ষিক আন্তর্জাতিক অনুষ্ঠানে তার প্রথম অংশগ্রহণ। যদিও কতদিন তিনি চীনে থাকবেন বা শি জিনপিং ও পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করবেন কি না—তা নিয়ে কোনো বিস্তারিত তথ্য জানানো হয়নি।

চীন-জাপান যুদ্ধের ৮০তম বার্ষিকী উপলক্ষে আগামী ৩ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠেয় এ কুচকাওয়াজে ইরান, সার্বিয়া, বেলারুশ, কিউবা, পাকিস্তান, মালয়েশিয়া, মিয়ানমার ও ইন্দোনেশিয়ার নেতারাও যোগ দেবেন। সেখানে চীনের আধুনিক সামরিক সক্ষমতা প্রদর্শন করা হবে এবং প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ভাষণ দেবেন।

আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের মতে, ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে রাশিয়ার অবস্থানের কারণে পশ্চিমা দেশগুলো এ অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত থাকছে। তবে উত্তর কোরিয়ার জন্য চীনের সহায়তা এখনো অপরিহার্য, যদিও সাম্প্রতিক সময়ে দেশটি রাশিয়ার সঙ্গে সামরিক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়িয়েছে।

কূটনৈতিক পর্যবেক্ষকদের ধারণা, কিমের এ সফরের মাধ্যমে শুধু চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করাই নয়, বরং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নতুন করে আলোচনার সম্ভাবনাও ইঙ্গিত দিচ্ছে। ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে অতীতে কিমের কয়েক দফা বৈঠক হলেও নিষেধাজ্ঞা ইস্যুতে সমঝোতা ব্যর্থ হয়েছিল। এখন নতুন উদ্যোগে পরিস্থিতি ভিন্ন দিকে মোড় নিতে পারে বলে মনে করছেন তারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button