

এবিএনএ: গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও শহীদদের রক্ত বৃথা না যাওয়ার অঙ্গীকার নিয়ে জাতীয় ঐক্য বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে বিএনপি আয়োজিত ‘গণঅভ্যুত্থান ২০২৪: জাতীয় ঐক্য ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা’ শীর্ষক স্মরণসভায় তিনি এ কথা বলেন। তিনি গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’ থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
খালেদা জিয়া বলেন, “ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ছাত্র ও জনতার রক্তস্নাত অভ্যুত্থানের এক বছর পূর্ণ হয়েছে। এ লড়াইয়ে নিহতদের ত্যাগ আমাদের পথ দেখায়।” তিনি তাদের জন্য যথাযথ রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি, বিচার ও পুনর্বাসনের দাবি জানান।
তিনি আরও বলেন, “দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে এই দেশে একদলীয় শাসনের ভয়াবহতা চলছে। গুম, খুন, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে মানুষকে দমন করা হচ্ছে। এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।”
বিএনপির চেয়ারপারসন এ সময় গুম-খুনের শিকার পরিবারগুলোর জন্য তালিকা প্রণয়ন, ন্যায়বিচার ও সম্মানজনক পুনর্বাসনের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, “এই রক্তের মূল্য দিতে হবে। বীরদের আত্মত্যাগ যেন ব্যর্থ না হয়। আমাদের সবার দায়িত্ব শহীদ জিয়াউর রহমানের স্বপ্নের নতুন বাংলাদেশ গড়া এবং গণতান্ত্রিক কাঠামো পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা।”
অনুষ্ঠানে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন। সভার শুরুতে ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান নিয়ে নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়, যেখানে আন্দোলনের প্রেক্ষাপট ও শহীদদের অবদান তুলে ধরা হয়।
খালেদা জিয়া তার বক্তব্যের শেষে বলেন, “চলুন, আমরা সবাই মিলে গণতন্ত্র ও স্বাধীনতাকে রক্ষা করি, জনগণের নিরাপত্তা ও কর্মসংস্থান নিশ্চিত করি এবং আমাদের দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করি।”