সাদাপাথর লুটে প্রশাসনের কঠোর অভিযান, হাই কোর্টের কড়া নির্দেশ
৩৫ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার, ১৩০ ট্রাক আটক, ৭ দিনের মধ্যে নদীতে পুনঃস্থাপনের নির্দেশ


এবিএনএ: সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের সাদাপাথর এলাকায় নজিরবিহীন লুটপাটের পর এবার নেমে এসেছে প্রশাসনের কঠোর অভিযান। জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী ও পুলিশ একত্রে পরিচালিত অভিযানে উদ্ধার হয়েছে প্রায় ৩৫ হাজার ঘনফুট সাদাপাথর। এর মধ্যে প্রায় ১২ হাজার ঘনফুট ইতিমধ্যে ধলাই নদী ও সাদাপাথর পর্যটন এলাকায় প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। পাচারকালে আটক হয়েছে পাথরবোঝাই ১৩০টি ট্রাক।
হাই কোর্টের নির্দেশে, লুণ্ঠিত সমস্ত পাথর সাত দিনের মধ্যে পূর্বের স্থানে ফিরিয়ে দিতে হবে। এছাড়া, যারা পাথর উত্তোলন ও চুরির সঙ্গে জড়িত, তাদের তালিকা তৈরি করে ৬০ দিনের মধ্যে হলফনামা আকারে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রশাসনের সমন্বয় সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, সাদাপাথর ও জাফলং এলাকায় দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা যৌথ বাহিনী দায়িত্ব পালন করবে, অবৈধ ক্রাশিং মেশিন বন্ধ করা হবে এবং চেকপোস্টের মাধ্যমে পাচার প্রতিরোধ করা হবে। ইতিমধ্যেই সিলেট-ভোলাগঞ্জ মহাসড়কে বসানো চেকপোস্টে বিপুল পরিমাণ পাথর জব্দ করা হয়েছে।
উচ্চ আদালতে দায়ের করা রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানিতে আদালত বুয়েটের একজন বিশেষজ্ঞকে নিয়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণের নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মনিটরিং টিম গঠন করে সাদাপাথর এলাকায় সার্বক্ষণিক তদারকির ব্যবস্থাও নিতে বলা হয়েছে।
এ ঘটনায় কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার পূর্ব ইসলামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলমগীর আলমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জেলা প্রশাসক শের মাহবুব মুরাদ জানিয়েছেন, প্রশাসন কঠোর অবস্থান নিয়েছে এবং চুরি হওয়া পাথর নদীতে প্রতিস্থাপনের কাজ চলছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের লুটপাট রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।