অভিনয়ে প্রতিনিয়ত নিজেকে ভাঙছেন সামিরা খান মাহি, একের পর এক ভিন্ন চরিত্রে চমক
পরিণত অভিনেত্রী হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে বৈচিত্র্যময় চরিত্রে কাজ করছেন সামিরা খান মাহি, একের পর এক নাটকে ভাঙছেন নিজের গণ্ডি


এবিএনএ: পরিণত ও গুণী অভিনয়শিল্পী হওয়ার আকাঙ্ক্ষায় নিজের প্রতিভাকে প্রতিনিয়ত শান দিচ্ছেন সামিরা খান মাহি। সেই প্রচেষ্টারই ধারাবাহিকতায় তিনি এখন নিজেকে ভেঙে নতুন রূপে দর্শকের সামনে হাজির হচ্ছেন। তাঁর সাম্প্রতিক নাটকগুলোই যেন সেই প্রমাণ বহন করছে।
‘আদরে রেখো’ নাটকে সামিরা হাজির হয়েছেন এক জেদি নারীর চরিত্রে, যে নিজের ইচ্ছাতেই সন্তান ধারণে অনাগ্রহী এবং প্রয়োজনে স্বামীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদে-ও রাজি। তবে জীবনের মোড় ঘোরে একটি অপ্রত্যাশিত গর্ভধারণের পর, যার মাধ্যমে শুরু হয় গল্পের টানটান উত্তেজনা। নাটকটি পরিচালনা করেছেন সজীব খান, এবং মাহির বিপরীতে অভিনয় করেছেন আরশ খান।
এদিকে, আর্ক ফিল্মসের ইউটিউব চ্যানেলে সম্প্রচারিত ‘মেমোরি লস’ নামক নাটকে সামিরা অভিনয় করেছেন এক সৌন্দর্য সচেতন, খুঁতখুঁতে স্বভাবের তরুণীর ভূমিকায়। নাটকটি পরিচালনা করেছেন ইমরাউল রাফাত এবং তাঁর বিপরীতে ছিলেন নিলয় আলমগীর।
অন্যদিকে বাংলাভিশনের ড্রামা বিভাগ সম্প্রতি প্রচার করেছে মাহির আরও একটি নাটক ‘খাঁটি প্রেমিক’। এখানে তিনি হয়েছেন সুজানা নামের এক প্রবাসী তরুণী, যিনি প্রথমে বাংলাদেশি পাত্রে আগ্রহী হলেও সিরাজ নামের এক যুবকের সঙ্গে পরিচয়ের পর তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি বদলে যায়। এই নাটকটিও নিলয়ের সঙ্গে করেছেন মাহি এবং নির্মাণে ছিলেন মহিন খান।
তবে এখানেই শেষ নয়। ‘হারিয়ে খুঁজি’ (নির্মাতা: পথিক সাধন), ‘কখনো কখনো’ (নির্মাতা: সকাল আহমেদ) এবং ‘হিটার’ (নির্মাতা: মজুমদার শিমুল) নামক তিনটি নাটকে সম্পূর্ণ নতুন ধরনের তিনটি চরিত্রে দেখা গেছে মাহিকে। প্রত্যেকটি নাটকে তাঁর অভিনয় প্রশংসিত হয়েছে দর্শক মহলে।
নিজের এই অভিনয় যাত্রা সম্পর্কে সামিরা খান মাহি বলেন, “আমি চেষ্টা করি এমন গল্প ও চরিত্র বেছে নিতে যা আমার অভিনয় দক্ষতাকে চ্যালেঞ্জ জানায়। দর্শকদের নতুন রূপে ধরা দেওয়ার মধ্য দিয়েই নিজেকে পরিপূর্ণ অভিনেত্রী হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।”
সামিরার এই নিরন্তর প্রচেষ্টা নিঃসন্দেহে তাঁকে বাংলা নাট্যাঙ্গনের এক শক্তিশালী ও পরিপক্ব নাম হিসেবে প্রতিষ্ঠা করছে।