

এবিএনএ:
বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক অঙ্গনে অনিশ্চয়তা ও উদ্বেগ দিন দিন বাড়ছে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ভূমিকা ঘিরে তৈরি হয়েছে নতুন বিতর্ক। দায়িত্বশীল সূত্রের দাবি, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনায় আগ্রহী বিএনপি ও জামায়াত বারবার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে। অন্যদিকে, এনসিপির সঙ্গে তার নিয়মিত যোগাযোগ অব্যাহত থাকলেও, অন্যান্য দলের প্রতি তার অনীহা স্পষ্ট।
বিশেষজ্ঞ মহলের মতে, এই সঙ্কটের কেন্দ্রে রয়েছে একটি গোপন ‘অশুভ চক্র’, যারা চায় না দেশ নির্বাচনমুখী হোক। তারা ইউনূসকে জনবিচ্ছিন্ন করে নিজেরা রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে চায়। এমনকি এই চক্র জরুরি অবস্থার গুজবও ছড়াচ্ছে বলে জানা গেছে।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে সম্পর্ক নতুন করে জোড়া লাগছে। ইতোমধ্যে দুটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে, যার অন্যতম আলোচ্য বিষয় ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে একটি নির্বাচনের সম্ভাবনা।
এদিকে, বৃহস্পতিবার ড. ইউনূসের সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান ড. আলী রীয়াজের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সূত্র জানায়, সেখানে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও সেনাবাহিনীর বক্তব্য নিয়ে বিশ্লেষণ হয়। একই দিনে উপদেষ্টা পরিষদের দীর্ঘ বৈঠকেও রাজনৈতিক অবস্থা নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা হয়, যেখানে কিছু উপদেষ্টার ভূমিকা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন ড. ইউনূস।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ইউনূসের পদত্যাগই সংকটের সমাধান নয়। বরং সিদ্ধান্তহীনতা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে। অনির্দিষ্টতা বেড়েই চলেছে, যার ফলে জাতীয় সরকার গঠনের উদ্যোগ গোপনে শুরু হয়েছে বলে কিছু সূত্র নিশ্চিত করেছে।
তবে প্রশাসনের একাধিক স্তরে এ নিয়ে মতভেদ বিরাজ করছে। এখন দেখার বিষয়, এই রাজনৈতিক দাবা খেলায় শেষ পর্যন্ত কারা বিজয়ী হয় এবং জনগণের প্রত্যাশা কতটা পূরণ হয়।