বাংলাদেশ

গোয়ালন্দে দরবার হামলা: ইমামসহ ২৪ গ্রেপ্তার, সাতজনের স্বীকারোক্তি

নুরাল পাগলার দরবারে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও হত্যার ঘটনায় এ পর্যন্ত ২৪ জন গ্রেপ্তার হয়েছে, যার মধ্যে সাতজন আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।

এবিএনএ:  রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগলার দরবার শরীফে হামলা, অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও ভক্ত রাসেল মোল্লা হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার অভিযানে আরও অগ্রগতি হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে পুলিশ জানায়, এ পর্যন্ত মোট ২৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যাদের মধ্যে সাতজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

গ্রেপ্তারদের মধ্যে রয়েছেন গোয়ালন্দ বাজার বড় মসজিদের ইমাম মাওলানা আবু সাঈদ (৪৫) এবং গোয়ালন্দ পৌর এলাকার দেওয়ানপাড়া গ্রামের যুবক রাসেল শেখ (২৪)। তাদের ফরিদপুর ও ঢাকায় অভিযান চালিয়ে ধরা হয়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) শরীফ আল রাজীব জানান, পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুর মামলায় ১৬ জনকে এবং রাসেল হত্যাকাণ্ডে ৮ জনকে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যেই অপু, বিল্লু, সোহান সরদার, অভি মণ্ডল রঞ্জু, মাওলানা আব্দুল লতিফ, আবু সাঈদ ও রাসেল শেখ আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।

মামলার বাদী নিহত রাসেলের বাবা আমজাদ মোল্লা। তিনি প্রায় সাড়ে তিন হাজার অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। এর আগে পুলিশের পক্ষ থেকেও পৃথক মামলা দায়ের করা হয়।

গত শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে স্থানীয় ইমান আকিদা রক্ষা কমিটির ব্যানারে তৌহিদি জনতা বিক্ষোভ মিছিল করে। এরপর নুরাল পাগলার দরবারে হামলা চালানো হয়। পাল্টা প্রতিরোধে সংঘর্ষ বাঁধে, এতে ভক্ত রাসেল নিহত ও শতাধিক মানুষ আহত হন। দরবারে আগুন দেওয়া হয় এবং পুলিশের ওপর হামলাও ঘটে।

পুলিশ জানায়, উত্তেজনার সূত্রপাত হয়েছিল নুরাল পাগলার দাফনকে ঘিরে। ২৩ আগস্ট তার মৃত্যু হলে ভক্তরা দরবারের ভেতরে কবর দেন। তৌহিদি জনতা এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে আসছিল। অবশেষে ক্ষুব্ধ জনতা মরদেহ কবর থেকে তুলে এনে মহাসড়কের পদ্মার মোড়ে পুড়িয়ে দেয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button