চট্টগ্রাম বন্দরে অচলাবস্থা: শুল্ক কর্মকর্তাদের কর্মবিরতিতে আমদানি-রপ্তানি থমকে গেল
কাস্টমস হাউসে পূর্ণাঙ্গ শাটডাউনের কারণে চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য খালাস কার্যক্রম চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে


চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:
চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসে চলমান কর্মকর্তাদের শাটডাউন কর্মসূচির কারণে পুরোপুরি স্থবির হয়ে পড়েছে বন্দর কার্যক্রম। শনিবার সকাল থেকে আমদানি ও রপ্তানির সমস্ত প্রক্রিয়া—শুল্কায়ন, বিল অব এন্ট্রি জমা দেওয়া ও পণ্য খালাস কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এতে চট্টগ্রাম বন্দরে মারাত্মক অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে।
এই পরিস্থিতি যদি দ্রুত সমাধান না হয়, তবে আজকের মধ্যে পুরো বন্দর কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। বিশেষত রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক খাত মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছে, কারণ তাদের পণ্য জাহাজীকরণে বড় ধরনের বাধা তৈরি হয়েছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) দুটি পৃথক বিভাগ—রাজস্ব ব্যবস্থাপনা ও রাজস্ব নীতি—হিসেবে ভাগ করার সরকারি উদ্যোগের বিরুদ্ধে গত মাস থেকেই আন্দোলন চলছে। কলম বিরতি, কর্মবিরতি ও মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচির পর আন্দোলনরত কর্মকর্তারা এনবিআর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আব্দুর রহমান খানকে পদত্যাগের দাবি জানিয়ে তাঁকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন।
চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস, এনবিআরের গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ, এখন পূর্ণ শাটডাউনের মধ্যে রয়েছে। কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা সবাই নিজ নিজ কার্যক্রম থেকে বিরত রয়েছেন। ফলে বন্দরে আসা কন্টেইনারগুলো আটকে যাচ্ছে, বিলম্ব হচ্ছে পণ্য খালাসে। এতে একদিকে যেমন আমদানিকারকরা ক্ষতির মুখে, অন্যদিকে রপ্তানিকারকরাও সময়মতো পণ্য পাঠাতে না পারায় চুক্তিভঙ্গের আশঙ্কায় রয়েছেন।
এর আগে কিছুদিন আগেও কলম বিরতির কর্মসূচি চলেছিল, তখন চট্টগ্রাম বন্দরে সৃষ্টি হয়েছিল বড় ধরনের কন্টেইনারজট। তখনকার পরিস্থিতি কাটিয়ে ওঠার আগেই নতুন করে এ শাটডাউন আন্দোলন পুরো দেশের বাণিজ্যিক কার্যক্রমে মারাত্মক প্রভাব ফেলছে।
🖋 উপসংহার:
সরকার যদি দ্রুত এনবিআর সংশ্লিষ্ট সংকটের সমাধান না করে, তাহলে দেশের অন্যতম বাণিজ্যিক প্রাণকেন্দ্র চট্টগ্রাম বন্দর কার্যত অচল হয়ে যাবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এই পরিস্থিতি দীর্ঘস্থায়ী হলে রাজস্ব হারানোর পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাণিজ্যেও দেশের সুনাম ক্ষুণ্ন হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে।