ষড়যন্ত্র হলে রাজপথেই জবাব দেবে বিএনপি: স্বেচ্ছাসেবক দলের হুঁশিয়ারি
নয়াপল্টনে স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভে উত্তপ্ত বার্তা—যেকোনো ষড়যন্ত্রের মোকাবিলা হবে রাজপথেই


এবিএনএ: রাজনৈতিক অস্থিরতা, প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা এবং ষড়যন্ত্রমূলক তৎপরতার বিরুদ্ধে রাজপথে সরব হয়ে উঠেছে বিএনপির সহযোগী সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক দল। মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ থেকে দলটির নেতারা হুঁশিয়ারি দেন—বিএনপি ও তাদের নেতাদের বিরুদ্ধে যে কোনো ষড়যন্ত্র রাজপথেই প্রতিহত করা হবে।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল সমাবেশে বলেন, “সন্ত্রাস ও খুনের কোনো দল বা আদর্শ থাকে না। মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ডকে পুঁজি করে বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। আগে নিজের মুখ আয়নায় দেখুন, তারপর অন্যের দিকে আঙুল তুলুন।”
তিনি আরও বলেন, “যদি কোনো মহল বিএনপি ও তার নেতাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে, তবে সে ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়া হবে রাজপথেই। আমাদের ধৈর্যের সীমা পরীক্ষা করবেন না। ধৈর্যের বাঁধ ভাঙলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারে।”
সমাবেশ শেষে বিকেল ৫টায় নয়াপল্টন থেকে মিছিল শুরু হয়ে কাকরাইল, মৎস্য ভবন হয়ে শাহবাগ মোড় গিয়ে শেষ হয়। সেখানেই সোয়া ৬টার দিকে ১৫ মিনিটের অবস্থান কর্মসূচি পালন করে স্বেচ্ছাসেবক দল। এর ফলে শাহবাগ মোড়ে যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। আশপাশের এলাকায় সৃষ্টি হয় ভয়াবহ যানজট।
বিক্ষোভে স্বেচ্ছাসেবক দলের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা ব্যানার-ফেস্টুন ও পতাকা নিয়ে অংশ নেন। বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে তাঁরা স্লোগানে স্লোগানে গর্জে ওঠেন।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি এস এম জিলানী এবং সঞ্চালনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান। বক্তব্য দেন বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, সাবেক সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসান ও ফখরুল ইসলাম রবিন।
বক্তারা সরকারের বিরুদ্ধে ‘রাষ্ট্রীয় ষড়যন্ত্র’ ও ‘প্রশাসনিক সহায়তায় বিরোধী দল দমন’ করার অভিযোগ তুলে এর বিরুদ্ধে দেশজুড়ে আন্দোলনের প্রস্তুতির আহ্বান জানান।