এ বি এন এ : মেডিকেল কলেজ স্থাপনসহ ১ হাজার ১০০ বাস-ট্রাক ক্রয়, পুলিশের বিশেষ বাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধি ও চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের অর্থনৈতিক অঞ্চলের পরিধি বাড়াতে আলাদা আলাদা প্রকল্প অনুমোদন করেছে সরকার। মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এসব প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়।
প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ৮০৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ১ হাজার ৯৩২ কোটি ২৮ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক সহায়তা থেকে ৮৭২ কোটি ৭২ লাখ টাকা।
রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এসব প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠক শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
বিআরটিসির জন্য বাস ও ট্রাক কেনার দুটি প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছে সভায়। এর মধ্যে বিআরটিসির জন্য ৬০০টি দ্বিতল, একতলা এসি ও নন-এসি বাস সংগ্রহে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৮০ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। এছাড়া ৫০০টি ট্রাক সংগ্রহে ব্যয় ধরা হয়েছে ২১৭ কোটি ৩৫ লাখ টাকা।
এ প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, চীন থেকে আনা বিআরটিসির বাসগুলো মুড়ির টিন হয়ে গেছে। এসব বাস নিলামে তোলা হবে।
এছাড়া একনেক সভায় চট্টগ্রাম জেলার মিরসরাই বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল (বেজা) বন্যা নিয়ন্ত্রণ, সড়ক কাম বেড়িবাঁধ প্রতিরক্ষা এবং নিষ্কাশন প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছে। এটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ১৬২ কোটি ৭৭ লাখ টাকা।
চট্টগ্রাম জেলার মিরসরাই বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চলকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও ঝড়-জলোচ্ছ্বাসের কবল হতে উপকূলীয় বাঁধের ভাঙন রোধ করে প্রকল্প এলাকাসহ পার্শ্ববর্তী এলাকাকে রক্ষাকরণ করা এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য। এছাড়া এ অর্থনৈতিক অঞ্চলের অবকাঠামো এবং অবিচ্ছিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থা বিদ্যমান রাখা, প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রেখে জনগণের জানমাল, সম্পদ সংরক্ষণ এবং অর্থনৈতিক কার্যকলাপের মাধ্যমে জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন হবে বলে মনে করছেন পরিকল্পনা মন্ত্রী।
প্রকল্পের আওতায় ১৭ দশমিক ৮৭২ কিলোমিটার উপকূলীয় বাঁধ নির্মাণ, ১৭ দশমিক ৮৭২ কিলোমিটার বাঁধের ঢাল সংরক্ষণ, ১৮ দশমিক ৪৮৮ কিলোমিটার মোটরাবল পেভমেন্ট নির্মাণ, ৩০ কিলোমিটার পুনঃখনন এবং ৬১৬ মিটার ক্লোজার নির্মাণ করা হবে।
এর বাইরে জামালপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এবং জামালপুর নার্সিং কলেজ স্থাপন প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে। এটি বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ৭১৬ কোটি ৬১ লাখ টাকা। পিবিআই এর কর্মকর্তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং তদন্তসহায়ক যন্ত্রপাতি ক্রয় প্রকল্প। এটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১২৭ কোটি ৪০ লাখ টাকা।
পরিকল্পনামন্ত্রীর ব্রিফকারীন সময়ে পরিকল্পনা সচিব তারিক-উল-ইসলাম, আইএমইডির সচিব ফরিদ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী এবং সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সিনিয়র সদস্য ড. শামসুল আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।