লাইফ স্টাইল

মস্তিষ্ক ঠান্ডা রাখতে হাইয়ের জুড়ি মেলা ভার

এবিএনএ : সকলের সামনে হাই তোলা ঠিক না। আবার হাই তুললেও মুখে হাত দিয়ে রাখতে হবে। এমনই অনেক নিয়মই শেখানো হতো ছোটোবেলায়। আমরা প্রত্যেকেই কমবেশি প্রকাশ্যে হাই তোলার জন্য বিব্রত হয়েছি। স্কুলের ক্লাসে হাই তোলা মানে ‘ঘুম ঘুম’ ভাব। টিচারের বকুনি। বাড়িতে অতিথিদের সামনে হাই মানেই ‘অভদ্রতা। ’ কিন্তু, হাই-কে এত সহজে বাই বলবেন না। কারণ, বিশেষজ্ঞরা এ নিয়ে এক চমকপ্রদ তথ্য দিয়েছেন।

হাই তোলা থেকে ধারণা করা যায়, একজন মানুষের মস্তিষ্ক সম্পর্কে। বিশিষ্ট মনস্তত্ত্বিক অ্যান্ড্রু গ্যালপ-এর নেতৃত্বে বিশেষজ্ঞদের একটি দল সম্প্রতি পরীক্ষার পর এই দাবি করেছে। তাঁদের দাবি, যে ব্যক্তি যত লম্বা হাই তোলে, তার বুদ্ধি তত বেশি। জার্নাল বায়োলজি লেটারে প্রকাশিত রিপোর্টে এই দাবিই করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

স্তন্যপায়ী প্রাণীদের মধ্যে মানুষই সবচেয়ে লম্বা হাই তুলতে পারে বলে জানানো হয়েছে ওই রিপোর্টে। এরপরই দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে শিম্পাঞ্জি। এর থেকেই হাই তোলার সঙ্গে বুদ্ধির যোগাযোগ খুঁজে পেয়েছেন বিশষেজ্ঞরা। তাঁদের মতে, হাই তোলা নির্ভর করে মস্তিষ্কের আকারের উপর। মস্তিষ্কে উপস্থিত নিউরন প্রভাবিত করে হাই তোলার সময়কে। শুধু তাই নয়, বিশেষজ্ঞদের আরও দাবি, মস্তিষ্ককে ঠান্ডা রাখতেও হাইয়ের জুড়ি মেলা ভার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button