এ বি এন এ : সর্বশেষ গত ১৬ মার্চ মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজের সম্রাট ছবির ডাবিংয়ে দেখা গিয়েছিল অপু বিশ্বাসকে। এরপর থেকেই চলচ্চিত্রপাড়ায় আর দেখা যায়নি তাঁকে। তাঁর ব্যক্তিগত মুঠোফোনটিও দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ। চলচ্চিত্রের মানুষজন তো বটেই, এমনকি অপুর কাছের মানুষেরাও তাঁর অবস্থানের কথা নিশ্চিত হয়ে বলতে পারছেন না। তাঁদের দু-একজনের ভাষ্য, অপুর বড় বোনের বাড়ি ভারতের কলকাতায়। হয়তো সেখানে গিয়েছেন।
এদিকে অপু বিশ্বাস যে পাঁচটি ছবিতে কাজ করছিলেন, তাঁর অনুপস্থিতিতে সেগুলোর শুটিং আটকে গেছে। ছবিগুলো হলো রাজনীতি, মাই ডার্লিং, লাভ ২০১৬, পাঙ্কু জামাই ও মা। এর মধ্যে কিছু ছবির কাজ প্রায় শেষের দিকে, আবার কিছু ছবির কাজ অর্ধেক হয়ে আটকে গেছে। এতে ছবির পরিচালকেরা পড়েছেন বিপাকে।
এখনো রাজনীতি ছবির তিন-চারটি দৃশ্য ও দুটি গানের কাজ বাকি। হঠাৎ এই কাজ আটকে যাওয়া নিয়ে ছবির পরিচালক বুলবুল বিশ্বাস বলেন, ‘সবাই সহজভাবে টানা কাজ করতে চায়। কিন্তু আমরা পিছিয়ে যাচ্ছি। বিভিন্নভাবে অপু বিশ্বাসকে খোঁজার চেষ্টা করছি, কিন্তু পাচ্ছি না।’
প্রায় ৭০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে মাই ডার্লিং ছবির। এখন চারটি গান আর কয়েকটি দৃশ্যের আউটডোরের কাজ হয়ে গেলেই ছবির শুটিং শেষ হবে। তবে ছবির এই বাকি কাজ নিয়েই চিন্তায় পড়েছেন পরিচালক মনতাজুর রহমান আকবর। তিনি বলেন, শাকিব খানের শিডিউল এখন পাওয়া গেছে। কিন্তু সমস্যা তৈরি হয়েছে ছবির নায়িকা অপু বিশ্বাসকে নিয়ে।
আটকে যাওয়া পাঁচ ছবিতেই অপু বিশ্বাসের নায়ক শাকিব খান। বিষয়টি নিয়ে তাঁর সঙ্গে যখন যোগাযোগ করা হয়, তখন তিনি এফডিসিতে শুটিংয়ে ব্যস্ত। সেখান থেকে মুঠোফোনে শাকিব বলেন, ‘সময়-সুযোগ বুঝে আমার শিডিউল দিচ্ছি। কিন্তু অপু বিশ্বাসের শিডিউলের ব্যাপারটি ছবির পরিচালকদেরই ঠিক করতে হবে।’
১৫ থেকে ২০ দিন আগে একবার ঘণ্টা খানেকের জন্য অপু বিশ্বাসের মুঠোফোন নম্বরটি খোলা ছিল। এরপর থেকে আবারও বন্ধ। গতকাল সোমবার একাধিকবার তাঁর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।