এবিএনএ : জগতে এমন কোন ব্যক্তি নেই যার মধ্যে শিশুসত্ত্বা নেই। কোন কোন ব্যক্তির ক্ষেত্রে সত্ত্বাটির আপনাআপনি বহি:প্রকাশ ঘটে। তবে কারও কারও ক্ষেত্রে এটি বয়স এবং ব্যস্ততার কারণে ঢাকা পড়ে যায়। তখন হাজার বাসনা থাকা সত্ত্বেও তারা অনেক কাজই করতে পারেন না। যা পরবর্তীতে তাদের শরীরের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে। এর ফলে একজন ব্যক্তি ধীরে ধীরে অসুস্থও হয়ে পড়তে পারেন। কাজেই সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনে থাকতে দরকার ভেতরের শিশুসত্ত্বাটিকে জাগিয়ে তোলা।
কাজেই ভেতরের সত্ত্বাটিতে জাগিয়ে তুলতে যা করবেন-
মন যা চায় তাই করুন
মন যখনই যে কাজটা করতে চাইবে সঙ্গে সঙ্গে তা করুন। এতে এক ধরনের ভালোলাগা কাজ করবে। সেইসঙ্গে নিজেকেও অনেক হালকা লাগবে যা সুস্থ থাকতে সাহায্য করবে। এমনকি বয়স হয়ে গেলেও নিজের সব ইচ্ছা পূরণ করার চেষ্টা করুন। এতে আপনার শিশুসত্ত্বাটি আরও একবার জাগ্রত হবে।
বাচ্চাদের সঙ্গে মিশুন
সবসময় বাচ্চাদের সঙ্গে মেশার চেষ্টা করুন। কেননা তাদের সঙ্গে বেশি বেশি মিশলে আপনার মনটিও অনেক পবিত্র হবে। সেই সময় কোন কাজই আর জটিল মনে হবে না। ফলে শরীরের উপরও কোন ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে না।
সব কিছুই সম্ভব
সবসময় মনে করবেন কোন কিছুই অসম্ভব না। আপনার পক্ষে সব কিছুই করা সম্ভব। এমনটা করলে দেখবেন সময়ে অনেক অসাধ্য সাধন করে ফেলেছেন আপনি। তখন এমনিতেই নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস অনেক বেড়ে যাবে।
সৃজনশীল কাজ করুন
নিজের সত্ত্বাটিকে জাগিয়ে তুলতে সবসময় নতুন কিছু করার চেষ্টা করুন। এতে শুধু আপনার দক্ষতাই বাড়বে না, একইসঙ্গে আত্মবিশ্বাসও বাড়বে। চাইলে এ সময় আপনার ভালোলাগার কাজগুলোও করতে পারেন। এতে সুস্থ থাকা আপনার জন্য অনেকটাই সহজ হবে।
বেড়াতে যান
সময় পেলেই আপনার পছন্দের জায়গাগুলো ঘুরে আসুন। এতে মন প্রফুল্ল থাকবে। সেইসঙ্গে আপনিও থাকবেন সুস্থ।
Share this content: