পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের আগে ট্রাম্পের স্পষ্ট বার্তা: ইউক্রেন নয়, লক্ষ্য আলোচনার পথ খোলা
আলাস্কায় ট্রাম্প–পুতিন বৈঠক আজ, ট্রাম্প জানালেন ইউক্রেন ইস্যুতে নেতৃত্ব দেবে ইউরোপ, প্রয়োজনে রাশিয়ার ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা


এবিএনএ: প্রায় চার বছর পর যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার শীর্ষ নেতৃত্ব মুখোমুখি হতে যাচ্ছে আলাস্কায়। আজ স্থানীয় সময় বিকাল ৩টায় অ্যাঙ্কারেজের এলমেনডর্ফ–রিচার্ডসন যৌথ বিমানঘাঁটিতে বসবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বৈঠক।
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, ট্রাম্প বিকেলের বৈঠক শেষে রাত পৌনে ১০টার দিকে ওয়াশিংটনে ফিরবেন। বৈঠকের আগে ট্রাম্প স্পষ্ট করে জানান, তিনি ইউক্রেন যুদ্ধের কোনো আনুষ্ঠানিক শান্তি চুক্তি নিয়ে আসছেন না, বরং উদ্দেশ্য পুতিনকে আলোচনার টেবিলে বসানো। তাঁর মতে, ইউক্রেন ইস্যুতে নেতৃত্ব দেবে ইউরোপ, এবং ন্যাটোতে ইউক্রেনকে অন্তর্ভুক্ত করার কোনো পরিকল্পনা নেই।
ট্রাম্প বলেন, ব্যক্তিগত স্বার্থে নয়, বরং বহু মানুষের জীবন রক্ষার লক্ষ্যেই তিনি এই পদক্ষেপ নিয়েছেন। তবে সতর্ক করে দেন—পুতিন যদি যুদ্ধ থামাতে রাজি না হন, তবে রাশিয়াকে কঠোর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে হবে।
আলাস্কায় যাওয়ার পথে ট্রাম্প জানান, পুতিন সঙ্গে রুশ ব্যবসায়ীদের উপস্থিতি তিনি ইতিবাচক মনে করছেন। তবে যুদ্ধের সমাধান না হওয়া পর্যন্ত রাশিয়া স্বাভাবিক বাণিজ্য সুবিধা পাবে না। আলোচনায় অগ্রগতি হলে বাণিজ্যের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করা হবে বলেও ইঙ্গিত দেন তিনি।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ জানিয়েছেন, বৈঠকে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে তাদের নির্দিষ্ট অবস্থান উপস্থাপন করবে, তবে ফলাফল নিয়ে আগে থেকে কিছু বলবেন না। পুতিন ইতোমধ্যে আলাস্কায় পৌঁছেছেন, এর আগে তিনি রাশিয়ার মাগাদান শহরে স্থানীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক ও একটি শিল্প কারখানা পরিদর্শন করেছেন।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি আশা প্রকাশ করেছেন, এই বৈঠক শান্তির পথে অগ্রসর হওয়ার সুযোগ তৈরি করতে পারে এবং ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্র–রাশিয়া–ইউক্রেন ত্রিপক্ষীয় আলোচনার পথ খুলে দিতে পারে। তাঁর ভাষায়, “যুদ্ধ শেষ করার সময় এসেছে, রাশিয়াকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। আমরা যুক্তরাষ্ট্রের ওপর আস্থা রাখছি।”