

এবিএনএ : সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড চায়, অন্যদিকে নিজেরাই ব্যক্তিগত আক্রমন ও বিদ্বেষপ্রসুত বক্তব্য দিয়ে রাজনৈতিক পরিবেশটাকে বিষাক্ত করছে তাদের মুখের বিষ দিয়ে। বেগম জিয়া বিদেশ গেলেন তাহলে কী তিনি ফিরে আসবেন না? এটা ব্যক্তিগত আক্রমণ না, এটা রাজনৈতিক বক্তব্য। এখন পালিয়ে যাওয়ার কথা তিনি বলছেন, বিএনপির নাকি পালিয়ে যাওয়ার রেকর্ড নেই। অথচ বাংলাদেশের মানুষ জানে পালিয়ে যাওয়ার রেকর্ড রাজনীতিতে এদেশে কেবল বিএনপিরই আছে।মন্ত্রী শনিবার দুপুুরে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে মেঘনা সেতুর টোলপ্লাজায় ‘ডিজিটাল টাচ এন্ড গো’ পদ্ধতিতে যানবাহন থেকে টোল আদায় কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন সড়ক বিভাগের সচিব এম এএন সিদ্দিক, সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী ইবনে আলম হাসান, অতিরিক্ত সচিব ফারুক জলিল, হাইওয়ে পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি আতিকুল ইসলাম, সড়ক ও জনপথ বিভাগের ঢাকা বিভাগীয় অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আব্দুস সবুর, সোনারগাঁ উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা শাহিনুর ইসলাম প্রমূখ।ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশ গমন নিয়ে ফেসবুক, টুইটারে ভাইরাল হয়েছে তিনি দেশে আসবেন কী না। তিনি আসবেন কী আসবেন না, অনেক ইউজার সেখানে মন্তব্য করেছেন তিনি মামলার ভয়ে চলে গেছেন। এটা নিয়ে জনমনের সন্দেহ হয়েছে। বাস্তবতাটা যদি তারা প্রমাণ করতে পারেন, তাহলে তো এই প্রসঙ্গ থাকলো না। আমি আমার নিজের কথা বলি না, বানোয়াট ভিত্তিহীন কথা বলি না এবং ব্যক্তিগত আক্রমণ করি না।তিনি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের বিষয়ে তিনি বলেন, তিনি ভিত্তিহীন কিছু বিষয়, ব্যক্তিগত আক্রমণ টেনে এনেছেন। এটা তার জায়গা থেকে অত্যন্ত অশোভন। তার পার্টির অন্য নেতারা এসব ব্যক্তিগত বিদ্বেষ প্রসূত বক্তব্য দীর্ঘ দিন যাবত দিয়ে আসছেন। ফখরুল ইসলাম সাহেব এতোদিন এসব বলেননি। এখন তিনিও আবার একই ভিত্তিহীন বিদ্বেষ প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ শুরু করেছেন। তার দলের চিরাচারিত যে স্বভাব-সে স্বভাবেরই বর্হিপ্রকাশ। পালিয়ে যাওয়া দেশের মধ্যেই তো হয়েছে। বাংলাদেশের জনগণ কী ভুল গেছে-এরশাদের সাহেবের আমলে তিন দিন কে পালিয়ে গিয়েছিল? তিন দিন পর সে কোর্টে এসে বললেন আমি অপহৃত। সেই ইতিহাস এদেশের মানুষ ভুলে যায়নি।টাচ এন্ড গো পদ্ধতি সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, আমাদের ইতিহাসে সর্ব প্রথম সর্বাধুনিক ডিজিটাল পদ্ধতির টোল আদায়ে এই পদ্ধতির সূচনা হলো। দেশে এই পদ্ধতি কোথাও ব্যবহার করা হয়নি। পদ্ধতির না টাচ এন্ড গো। এতে টোল আদায়ে বাড়তি ঝামেলা. সংকট ধীর গতি এসব জটিলতার অবসান হবে। টাচ এন্ড গো পদ্ধতিতে খুব সহজেই টোল প্রদান করা যাবে। মেঘনা টোলপ্লাজায় অতিরিক্ত টোল বুথ স্থাপন করা হবে। বুথ সংখ্যা হবে ৮টি। ট্রাকের জন্য নির্ধারিত করা থাকবে দুটি। যাত্রীবাহি বাস ও মাইক্রোবাসসহ হালকা যানবাহনের জন্য থাকবে ৪টি বুথ নির্ধারিত থাকবে। যারা কার্ড থাকবে না তারা টাকা দিয়েও যেতে পারবে।