

এবিএনএ: স্বাস্থ্যসেবাকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে এবং টেকসই সংস্কার নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তী সরকার দৃঢ়ভাবে কাজ করছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।
রবিবার ‘বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস ২০২৫’ উপলক্ষে দেওয়া এক বার্তায় তিনি বলেন, “এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘হেপাটাইটিস: লেটস ব্রেক ইট ডাউন’—এই প্রতিপাদ্য হেপাটাইটিস নির্মূলের ক্ষেত্রে অত্যন্ত সময়োপযোগী ও তাৎপর্যপূর্ণ।”
তিনি আরও বলেন, দেশে লিভার রোগের ক্রমবর্ধমান প্রবণতা এক উদ্বেগজনক বাস্তবতা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই পরিস্থিতির পেছনে রোগ সম্পর্কে অজ্ঞতা, চিকিৎসা নিতে বিলম্ব এবং নানা সামাজিক কুসংস্কার দায়ী। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন জরিপ অনুযায়ী, দেশের প্রায় ৪.৪ শতাংশ মানুষ হেপাটাইটিস-বি এবং ০.৬ শতাংশ হেপাটাইটিস-সি ভাইরাসে আক্রান্ত।
প্রতিবছর হেপাটাইটিস, লিভার সিরোসিস, লিভার ক্যান্সারসহ নানা জটিল রোগে অসংখ্য মানুষ প্রাণ হারাচ্ছেন। তবে এই রোগগুলো প্রতিরোধযোগ্য। সচেতনতা বৃদ্ধি ও সময়মতো চিকিৎসা গ্রহণের মাধ্যমে এসব রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সরকার ইতোমধ্যে হাসপাতালের মানোন্নয়ন, চিকিৎসা সেবায় প্রযুক্তির ব্যবহার এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা সম্প্রসারণে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে অনলাইন ও মোবাইল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে চিকিৎসা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।
২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী হেপাটাইটিস নির্মূলের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার ইতোমধ্যে বিভিন্ন কার্যক্রম শুরু করেছে। তবে এক্ষেত্রে সরকারি-বেসরকারি সব পক্ষের সমন্বিত প্রয়াসই এই লক্ষ্য অর্জনের চাবিকাঠি হবে বলে মনে করেন তিনি।
হেপাটাইটিসকে নীরব ঘাতক আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, এ রোগ মোকাবেলায় শুধু সরকার নয়, বরং সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষকে সচেতন হতে হবে। তিনি গণমাধ্যম, নাগরিক সমাজ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং অভিভাবকদের এ বিষয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
প্রধান উপদেষ্টা ‘বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস-২০২৫’ উপলক্ষে আয়োজিত সকল কর্মসূচির সফলতা কামনা করে তার বার্তা শেষ করেন।