জাতীয়

সীমানা পুনর্নির্ধারণ শুনানির প্রথম দিনে ১৮ আসনে ৮১১ আবেদন নিষ্পত্তি

সংসদীয় আসনের সীমানা নিয়ে প্রথম দিনের শুনানিতে ৮১১টি আবেদনের নিষ্পত্তি হয়েছে। খসড়ার পক্ষে-বিপক্ষে উভয় মতই তুলে ধরেন রাজনৈতিক দলগুলো।

এবিএনএ: সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণে দাবি-আপত্তি শুনানির প্রথম দিনেই ১৮ আসনের ৮১১টি আবেদন নিয়ে শুনানি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

রবিবার (২৪ আগস্ট) সকাল থেকে নির্বাচন ভবনের অডিটোরিয়ামে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে এ শুনানি হয়।

শুনানিতে সবচেয়ে বেশি আলোচনার জন্ম দেয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও ৩ আসনের বিষয়টি। এ সময় বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। অভিযোগ রয়েছে, এ ঘটনায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) এক নেতা আহত হন। এমনকি বিএনপির শীর্ষ নেত্রী ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা নিজ দলের কর্মীদের বিরুদ্ধেই ধাক্কা দেওয়ার অভিযোগ করেন।

ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. শরিফুল আলম জানান, প্রথম দিনে কুমিল্লা অঞ্চলের ১৮ আসনের শুনানি হয়েছে। এর মধ্যে ইসির খসড়ার বিপক্ষে ৪২৯টি এবং খসড়ার পক্ষে ৩৮২টি আবেদন শোনা হয়েছে।

আগামী ২৫ আগস্ট খুলনা অঞ্চলের ৯৮টি, বরিশাল অঞ্চলের ৩৮১টি এবং চট্টগ্রাম অঞ্চলের ২০টি আবেদন শুনানি হবে। পরদিন ২৬ আগস্ট ঢাকার ৩১৬টি আবেদন, ২৭ আগস্ট রংপুরের সাতটি, রাজশাহীর ২৩২টি, ময়মনসিংহের তিনটি, ফরিদপুরের ১৮টি এবং সিলেট অঞ্চলের দুটি দাবি-আপত্তির শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

ইসির তথ্যানুসারে, গত ১০ আগস্ট পর্যন্ত মোট ১,৭৬০টি দাবি-আপত্তি জমা পড়ে ৮৩টি আসনের সীমানা নিয়ে। এগুলো নিষ্পত্তি করেই চূড়ান্ত সীমানা প্রকাশ করবে কমিশন।

এর আগে ৩০ জুলাই ইসি ৩০০ আসনের নতুন সীমানার খসড়া প্রকাশ করে। এতে ভোটার সংখ্যার ভারসাম্য আনার জন্য গাজীপুর জেলায় একটি আসন বাড়িয়ে ছয়টি করা হয়, আর বাগেরহাটের চারটি আসন কমিয়ে তিনটিতে আনার প্রস্তাব দেওয়া হয়।

এ ছাড়া আরও ৩৯টি আসনের সীমানায় পরিবর্তন আনা হয়। এর মধ্যে রয়েছে— পঞ্চগড়-১ ও ২; রংপুর-৩; সিরাজগঞ্জ-১ ও ২; সাতক্ষীরা-৩ ও ৪; শরীয়তপুর-২ ও ৩; ঢাকা-২, ৩, ৭, ১০, ১৪ ও ১৯; গাজীপুর-১, ২, ৩, ৫ ও ৬; নারায়ণগঞ্জ-৩, ৪ ও ৫; সিলেট-১ ও ৩; ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও ৩; কুমিল্লা-১, ২, ১০ ও ১১; নোয়াখালী-১, ২, ৪ ও ৫; চট্টগ্রাম-৭ ও ৮ এবং বাগেরহাট-২ ও ৩।

আগে বাগেরহাটে ছিল চারটি আসন:

  • বাগেরহাট-১: মোল্লারহাট-ফকিরহাট-চিতলমারী

  • বাগেরহাট-২: সদর ও কচুয়া

  • বাগেরহাট-৩: রামপাল ও মোংলা

  • বাগেরহাট-৪: মোড়েলগঞ্জ ও শরণখোলা

খসড়া অনুযায়ী নতুন প্রস্তাবে বাগেরহাট-১ আসন অপরিবর্তিত থাকলেও, সদর–কচুয়া–রামপালকে একত্রিত করে বাগেরহাট-২ এবং মোংলা–মোড়েলগঞ্জ–শরণখোলাকে বাগেরহাট-৩ হিসেবে প্রস্তাব করা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, “৬৪ জেলার গড় ভোটার সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়েছে চার লাখ ২০ হাজার ৫০০। এ গড় ধরে গাজীপুরে একটি আসন বাড়ানো হয়েছে এবং বাগেরহাটে একটি আসন কমানো হয়েছে। ফলে ভারসাম্য এসেছে। মোট ৩৯ আসনে সমন্বয় করা হয়েছে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button