‘সাবা’ আমাকে নতুন করে বাঁচতে শিখিয়েছে: মেহজাবীন
টেলিভিশনের পর্দা থেকে বড় পর্দায় প্রথম অভিষেকেই ভিন্ন অভিজ্ঞতা পেলেন মেহজাবীন চৌধুরী। ‘সাবা’ তাঁকে শিখিয়েছে সাহস আর জীবনের নতুন মানে।


এবিএনএ: অনেক দিন ধরে দর্শক ও ভক্তরা অপেক্ষা করছিলেন মেহজাবীন চৌধুরীর বড় পর্দায় অভিষেকের জন্য। টেলিভিশন নাটক, বিজ্ঞাপন ও ওয়েব সিরিজে দাপটের পর এবার তিনি হাজির হয়েছেন পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে। সেই ছবির নাম ‘সাবা’। এই সিনেমাই তাঁকে শিখিয়েছে সাহস আর নতুন করে বাঁচার মানে।
‘সাবা’র কাহিনি এক তরুণীর জীবনসংগ্রামকে কেন্দ্র করে। বাবাকে হারানোর পর অসুস্থ মাকে নিয়ে টিকে থাকার লড়াই, দুঃখ, আনন্দ ও সম্পর্কের টানাপোড়েন ফুটে উঠেছে সিনেমাটিতে। পরিচালক মাকসুদ হোসেন ও ত্রিলোরা খানের যৌথ চিত্রনাট্যে নির্মিত এই ছবির অনুপ্রেরণা এসেছে বাস্তব জীবন থেকে। আর সেই চরিত্রকেই জীবন্ত করেছেন মেহজাবীন।
মেহজাবীন জানান, চিত্রনাট্য পড়েই তাঁর ভেতরটা নাড়া দিয়েছিল। সহজ অথচ গভীর গল্প তাঁকে নতুন করে ভাবিয়েছে। তাঁর কথায়, “আমি আসলে ততটা সাহসী নই, কিন্তু সাবা আমাকে সাহসী হতে শিখিয়েছে।”
সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে ছবির ট্রেলার। অল্প সময়ের মধ্যেই সেটি সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনার ঝড় তোলে। মা-মেয়ের সম্পর্ক, আবেগ আর সংগ্রামের বাস্তবচিত্র দর্শকদের আবেগাপ্লুত করেছে। অনেকে ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার সঙ্গে মিল খুঁজে পেয়েছেন।
ছবিতে মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন রোকেয়া প্রাচী এবং অঙ্কুর চরিত্রে আছেন মোস্তফা মনোয়ার। তাঁদের সঙ্গে মেহজাবীনের প্রথম কাজটিও দর্শকদের আগ্রহ বাড়িয়েছে।
আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও আলোচনায় এসেছে ‘সাবা’। টরন্টো থেকে শুরু করে বুসান, রেড সি, ওসাকা, গোথেনবার্গসহ একাধিক চলচ্চিত্র উৎসবে ছবিটি প্রদর্শিত হয়েছে। বেঙ্গালুরু উৎসবে এশিয়ান সিনেমা প্রতিযোগিতা বিভাগে পুরস্কারও জিতেছে।
মেহজাবীন বলেন, “বিদেশি দর্শকরাও হাসির দৃশ্যে হেসেছে, কান্নার দৃশ্যে কেঁদেছে। তখন বুঝেছি, মানুষের আবেগ সারা পৃথিবীতেই এক।”
অবশেষে পূজা উপলক্ষে ছবিটি মুক্তি পাচ্ছে দেশের প্রেক্ষাগৃহে। মেহজাবীনের বিশ্বাস, এটাই সঠিক সময় বাংলাদেশের সিনেমাকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নতুনভাবে পরিচিত করার। তাঁর মতে, গল্প আর প্রতিভা দিয়ে বাংলাদেশি সিনেমা বিশ্বজুড়ে জায়গা করে নিতে সক্ষম।
‘সাবা’ শুধু একটি সিনেমা নয়—এটি মা-সন্তানের সম্পর্কের আবেগঘন যাত্রা। আর মেহজাবীনের কাছে এটি জীবনের এক নতুন অধ্যায়, যা তাঁকে করেছে আরও সাহসী, আরও মানবিক।