৩৩ বছর পর জাকসু নির্বাচন: বেলা বাড়ার সাথে বেড়ে চলছে ভোটারদের ভিড়
সকালে কেন্দ্রগুলো ছিল ফাঁকা, তবে দুপুর গড়াতেই ভোটার উপস্থিতি বাড়তে শুরু করেছে—উৎসবমুখর পরিবেশে চলছে ভোটগ্রহণ।


এবিএনএ: দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে শুরু হলো জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) এবং হল সংসদ নির্বাচন। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি আবাসিক হলের ২২৪টি বুথে একযোগে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে, যা চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।
সকালেই ভোটার উপস্থিতি তুলনামূলকভাবে কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করেছে। শিক্ষার্থীরা ধীরে ধীরে ভোটকেন্দ্রে ভিড় বাড়াচ্ছেন। শহীদ রফিক-জব্বার হল ও শহীদ সালাম-বরকত হলে সকাল বেলায় ভোটদানের হার খুবই কম ছিল। তবে নির্বাচন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দুপুর গড়ানোর পর ভোটারদের উপস্থিতি বাড়তে শুরু করেছে এবং উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট হচ্ছে।
এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ১১ হাজার ৮৯৭। কেন্দ্রীয় ও হল সংসদের ২৫টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৭৮ জন প্রার্থী। ভোট গ্রহণে নিয়োজিত রয়েছেন ৬৭ জন শিক্ষক পোলিং অফিসার এবং সমসংখ্যক কর্মকর্তা সহকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ভোট শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হলে বিশেষ ওএমআর মেশিনে গণনা করে ফলাফল ঘোষণা করা হবে।
প্রার্থীদের মধ্যে ২৫ শতাংশ নারী এবং ৭৫ শতাংশ পুরুষ। যদিও ভিপি পদে কোনো নারী প্রার্থী নেই, তবে জিএস পদে দুইজন ছাত্রী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মেয়েদের পাঁচটি হলে একাধিক পদে কোনো প্রার্থী না থাকায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা সীমিত হয়ে গেছে।
বাম, শিবির, ছাত্রদল ও স্বতন্ত্রসহ মোট আটটি প্যানেল অংশ নিয়েছে এ নির্বাচনে। প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন ছাত্রদলের শেখ সাদী হাসান ও তানজিলা হোসেন বৈশাখী, শিবিরের আরিফুল্লাহ আদিব ও মাজহারুল ইসলাম, ‘শিক্ষার্থী ঐক্য ফোরাম’-এর আরিফুজ্জামান উজ্জ্বল, ‘স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী সম্মিলন’-এর আব্দুর রশিদ জিতু ও মো. শাকিল আলী, এবং বিভিন্ন বাম সংগঠনের সংশপ্তক পর্ষদ থেকে একাধিক প্রার্থী।
৩৩ বছর পর অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে শিক্ষার্থীরা উৎসাহের সঙ্গে অংশ নিচ্ছেন। দিনের শুরুতে ভোটের গতি ধীর হলেও দুপুর গড়ানোর সাথে সাথে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ভোটারদের সরব উপস্থিতি নির্বাচনকে প্রাণবন্ত করে তুলেছে।