

এবিএনএ: ইসলামপন্থীদের মধ্যে ব্যাপক জনআকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছে ঐক্যের, এবং সেই ঐক্যের মাধ্যমে আগামী দিনে ইসলামি দলগুলোই হবে দেশের মূল রাজনৈতিক শক্তি—এমন মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাইয়ের পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম।
শনিবার বিকেলে ঢাকার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত ইসলামী আন্দোলনের মহাসমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, “দেশের মানুষ এখন পরিবর্তন চায়। আমরা ৫৪ বছরে নানা দলকে ক্ষমতায় দেখেছি, কিন্তু ইসলামপন্থীরা কখনো রাষ্ট্র পরিচালনায় আসতে পারেনি। এবার যদি আমরা সব ইসলামপন্থী দল ও দেশপ্রেমিক দলগুলোকে নিয়ে কার্যকর একটি ঐক্য গড়তে পারি, তাহলে ইনশাআল্লাহ এবার নেতৃত্ব আমাদের হাতেই আসবে।”
চরমোনাই পীর আরও বলেন, তিনি শুরু থেকেই ‘একবাক্স ভোট’ নীতির পক্ষে। শুধু ইসলামি দল নয়, বরং অন্যান্য দেশপ্রেমিক দলগুলোকেও একসাথে নিয়ে জোট গঠনের কাজ চলছে।
তিনি দাবি করেন, “এখন সময় এসেছে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন দেওয়ার। যে যত শতাংশ ভোট পাবে, সে তত শতাংশ আসনে প্রতিনিধিত্ব করবে—এটাই জনগণের দাবি। এমনকি বিএনপিকেও এই পদ্ধতিতে নির্বাচনে আসা উচিত।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সংস্কারের পক্ষে কঠোর অবস্থানে আছে এবং কেউ যদি এই সংস্কারে বাধা দেয়, তাহলে তা ২০২৪ সালের গণ-আন্দোলনের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা হবে।
সংবিধান প্রসঙ্গে চরমোনাই পীর বলেন, “১৯৭২ সালের সংবিধান জনগণের চাহিদা ও বিশ্বাসকে উপেক্ষা করেছে। সময় এসেছে গণমানুষের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী নতুন দিকনির্দেশনার।”
এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে তিনি ইসলামপন্থী রাজনীতির একটি সুসংগঠিত ভবিষ্যৎ গঠনের সম্ভাবনার ইঙ্গিত দিলেন, যেখানে ধর্মীয় মূল্যবোধ ও রাষ্ট্রীয় নেতৃত্ব একসূত্রে আবদ্ধ থাকবে।