বিসিবি নির্বাচন ঘিরে উত্তাপ: ‘আমি ক্রিকেটার, সন্ত্রাসী নই’—বুলবুলকে হুমকি অভিযোগে তামিমের জবাব
অজ্ঞাত ফোনে নির্বাচনে সরে দাঁড়ানোর হুমকি পাওয়ার দাবি বুলবুলের, তামিম বললেন সত্য হলে নম্বর প্রকাশ করে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া উচিত


এবিএনএ: বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) আসন্ন নির্বাচন ঘিরে উত্তাপ বাড়ছে প্রতিদিন। সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন বর্তমান সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল এবং সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল। এরই মধ্যে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছে একটি অভিযোগ—অজ্ঞাত নম্বর থেকে হুমকিমূলক ফোন পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন বুলবুল।
বৃহস্পতিবার বুলবুল জানান, তাকে নির্বাচনে না দাঁড়ানোর জন্য ফোনে চাপ দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গানম্যান চেয়ে চিঠি দিয়েছেন বিসিবির পক্ষ থেকে। যদিও চিঠিতে সরাসরি হুমকির বিষয়টি উল্লেখ করা হয়নি। পরে এক বেসরকারি টেলিভিশনে বুলবুল বলেন, ফোনে তাকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, যা তাকে উদ্বিগ্ন করেছে।
এই প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন তামিম ইকবাল। টেলিভিশনের এক টকশোতে তিনি বলেন, “আমি বিষয়টি খুব একটা ফলো করিনি। তবে যদি এমন ঘটনা ঘটে থাকে, এটা দুঃখজনক। আমি একজন ক্রিকেটার, সন্ত্রাসী নই। বুলবুল ভাই যখন কিছু বলেন, তখন সেটি স্পষ্টভাবে বলা উচিত। মাঝেমধ্যে উনার বক্তব্যে প্রশ্ন থেকে যায়।”
তিনি আরও যোগ করেন, “যদি সত্যিই হুমকির ফোন আসে, তাহলে নম্বর প্রকাশ করা উচিত। আমাদের দেশে পর্যাপ্ত গোয়েন্দা সংস্থা আছে, সহজেই বের করা সম্ভব কল কোথা থেকে এসেছে। লুকোচুরি না করে আইনের আশ্রয় নেওয়াই সবচেয়ে ভালো। না হলে স্পষ্ট জানানো হোক যে এরকম কিছু ঘটেনি।”
উল্লেখ্য, বুলবুল আগের মন্তব্যে সরাসরি “হুমকি” শব্দটি ব্যবহার না করে বলেছিলেন, ফোনে তাকে জিজ্ঞেস করা হয়—“ইলেকশনে না গেলে হয় না?” না গেলে ভালো হয়। এতে তিনি নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন।
প্রসঙ্গত, বিসিবির পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৪ অক্টোবর। সভাপতি ও পরিচালক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঘোষণা দিয়েছেন সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল, সাবেক সভাপতি ফারুক আহমেদসহ কয়েকজন প্রার্থী। এর মাঝেই হুমকির অভিযোগে নির্বাচন আরও সরগরম হয়ে উঠেছে।