টানা বৃষ্টিতে বাড়ছে নদীর পানি, ৩ বিভাগে বন্যার আশঙ্কা—ঝুঁকিতে ১০ জেলার নিম্নাঞ্চল
চট্টগ্রাম, সিলেট ও রংপুর বিভাগের বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বাড়ছে, বিপৎসীমা অতিক্রমের আশঙ্কায় নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি তৈরির শঙ্কা


এবিএনএ, ঢাকা :
টানা বর্ষণের ফলে দেশের তিনটি বিভাগের নদ-নদীতে পানির প্রবাহ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, এতে ফেনীসহ অন্তত ১০টি জেলার নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে বন্যা দেখা দিতে পারে।
এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগামী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম বিভাগের গোমতী, মুহুরী, ফেনী, হালদা, সাজু ও মাতামুহুরী নদীর পানি বাড়তে পারে। বিশেষ করে মুহুরী নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে এবং মাতামুহুরী নদীর পানি সতর্কসীমায় পৌঁছাতে পারে। এর ফলে ফেনী জেলার নিম্নাঞ্চলগুলোতে আকস্মিক বন্যার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগেও এমন পরিস্থিতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। সেখানকার সারিগোরাইন, যাদুকাটা, মনু, ধলাই, খোয়াই ও সোমেশ্বরী নদীর পানি আগামী তিন দিনে বাড়তে পারে। এতে সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও নেত্রকোণার নদীসংলগ্ন এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।
রংপুর বিভাগের তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীগুলোর পানিও বাড়ছে। আগামী তিন দিনের মধ্যে তিস্তার পানি সতর্কসীমায় পৌঁছাতে পারে বলে সতর্কবার্তায় জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে শনিবার পর্যন্ত বরিশাল, খুলনা ও চট্টগ্রামের উপকূলীয় নদ-নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি উচ্চতার জোয়ার দেখা যেতে পারে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র আরও জানায়, সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানির স্তর বেড়েই চলেছে এবং তা আগামী তিন দিন পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। তবে এই নদীগুলোর পানি এখনও বিপৎসীমার নিচে রয়েছে।
এদিকে, ব্রহ্মপুত্র ও যমুনার পানির স্তর বর্তমানে স্থিতিশীল থাকলেও আগামী শনিবার পর্যন্ত তা একই রকম থাকতে পারে এবং রোববার থেকে বুধবার পর্যন্ত তা বাড়তে পারে। যদিও এটি এখনো বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
গঙ্গা নদীর পানি স্থিতিশীল থাকলেও পদ্মা নদীর পানি বাড়ছে। তবে আগামী পাঁচ দিন পানির প্রবাহ বিপৎসীমার নিচে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
বন্যা ঝুঁকি মোকাবেলায় সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার প্রস্তুতি রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে।
Share this content: