লিড নিউজশিক্ষা

‘চ’ ইউনিট বাতিল নয়, বিশেষ ব্যবস্থায় ভর্তি: ঢাবি ভিসি

এবিএনএ : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিতে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমানো ও পাঠ্যপুস্তকভিত্তিক পরীক্ষা নেওয়া সময়ের দাবি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্প্রতি ডিনস কমিটির সভায় ‘চ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা বাতিলের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত অথবা প্রস্তাব নেওয়া হয়নি। বরং ওই সভার রেজুলেশনে এই ইউনিট তথা চারুকলা অনুষদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখার কথাই বলা হয়েছে।

বুধবার ‘এডুকেশন রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশেন, বাংলাদেশ’ (ইরাব) এর নতুন কার্যনির্বাহী কমিটির সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাৎকালে উপাচার্য এসব কথা বলেন। দুপুরে উপাচার্যের কার্যালয়ে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। উপাচার্য বলেন, ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে বিভিন্ন স্থান থেকে এমন অনেক তথ্য ছড়ানো হচ্ছে, যার কোনো ন্যুনতম ভিত্তি নেই। ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতির সংস্কার নিয়ে ২০১৮ সাল থেকেই আলোচনা চলছে। আমাদের মূল উদ্দেশ্য হলো, মানসম্মত শিক্ষার্থী ভর্তি করা, ভর্তি পরীক্ষায় অভিভাবক ও ভর্তিচ্ছুদের ভোগান্তি কমানো এবং ভর্তি পরীক্ষার বাণিজ্যায়ন তথা কোচিং ব্যবসা বন্ধ করা।

সম্প্রতি ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ‘ঘ’ ইউনিটের এবং চারুকলা অনুষদের ‘চ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা বিলুপ্ত করার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ- এমন খবর প্রকাশ পায়। এই দুটি ইউনিটের পরীক্ষা ‘খ’ ইউনিটের মাধ্যমে নেয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। তবে ডিনস সভায় ‘চ’ ইউনিট বাতিলের বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি বলে জানান উপাচার্য।

এসব এ বিষয়ে উপাচার্য ড. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘চ’ ইউনিটটিতে ভর্তির জন্য বিশেষ ব্যবস্থার কথা ডিনস কমিটির সভায় বলা হয়েছিল। এই পরীক্ষা বাতিলের কথা কোথাও বলা হয়নি।আমরা চাই সহজ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষার সুফল শিক্ষার্থীরা যেন পায়। ‘চ’ ইউনিট একটি বিশেষায়িত ইউনিট। সেটার জন্য অবশ্যই পৃথক পরীক্ষা রাখতে হবে। এটি বাতিলের প্রশ্ন আসে না।

অধ্যাপক আখতারুজ্জামান আরও বলেন, ‘ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত পর্যালোচনার মধ্যে এ বিষয়টি ছিল। ইউনিট কমানোর আলোচনা ২০১৮ সাল থেকে চলছে। কলা অনুষদ ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ভর্তি পরীক্ষার ধরন প্রায় একই। ডিনরা একই ধরনের প্রশ্নে দুটি পরীক্ষায় দ্বিমত প্রকাশ করেছেন। মূলত সার্বিক দিক বিবেচনায় নিয়ে আমরা শিক্ষার্থীদের হয়রানি কমাতে পরীক্ষা কমানোর দিকে যাচ্ছি। আর তা এখুনি হবে-এমন নয়। আগামী বছরের কথা মাথায় রেখে আমরা আলোচনা শুরু করেছি।আমরা চাই শিক্ষার্থীদের টেক্সটভিত্তিক পরীক্ষার আওতায় নিয়ে আসতে এবং পরীক্ষা কমিয়ে আনতে।’ ইরাব নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন উপাচার্য। এসময় ইরাবের নেতারাও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অগ্রগতির প্রশংসা করেন।

Share this content:

Back to top button