
এবিএনএ : বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করা করোনাভাইরাস নিয়ে সচেতনতার বিকল্প দেখছেন না ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র সাঈদ খোকন। বাংলাদেশেও নিউমোনিয়া সদৃশ ভাইরাসটির সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু নিয়ে সমালোচিত এই মেয়র। করোনাভাইরাস বাংলাদেশে এলে পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর হবে বলেও মনে করছেন তিনি। বৃহস্পতিবার দুপুরে নগর ভবনে ‘করোনাভাইরাসে প্রতিকার ও করনীয়’ শীর্ষক এক সেমিনারে মেয়র খোকন বলেন, ‘করোনাভাইরাস থেকে নিরাপদে থাকার জন্য সবার আগে থেকেই সচেতনতা প্রয়োজন।’
একই অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ভিসি অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেছেন, করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে প্রতিরোধের বিষয়ে জোর দিতে হবে। কারণ প্রতিরোধই প্রতিকার। সাঈদ খোকন বলেন, ‘করোনা ভাইরাসে বাংলাদেশ যে আক্রান্ত হবে না সে সম্ভাবনা কোনোভাবেই উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না। তাই আগে থেকেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শে প্রয়োজন সচেতনতা। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী সচেতনতামুলক প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিয়ে করোনা ভাইরাস মোকাবিলা করতে হবে ।
মেয়র বলেন, ‘চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর। আমরা নিত্য প্রয়োজনীয় যা কিছু ব্যবহার করছি সব চায়নার। ৯০ শতাংশের বেশি চায়নার জিনিসপত্র ব্যবহার করি আমরা। এমনকি আমাদের সবচেয়ে বড় যে প্রজেক্ট পদ্মা সেতু, সেটিও কিন্তু চায়নারা তৈরি করছে। এজন্য চাইনিজদের সঙ্গে আমাদের সবচেয়ে বেশি যোগাযোগ রয়েছে। সে তুলনায় ঢাকা কিংবা বাংলাদেশ এখনও আক্রান্ত হয়নি। তবে আক্রান্তের সম্ভাবনা কোনভাবেই উড়িয়ে দেয়া যায় না। এ বাস্তবতাকে সামনে রেখে আমাদের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা যেভাবে পরামর্শ দিয়েছেন আমরা সেগুলো মেনে চলে এটিকে মোকাবেলা করতে হবে ।’
তিনি আরো বলেন, যদি কোনোভাবেই এটি বাংলাদেশে এসে যায়, তবে ভয়ংকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে। তাই আমরা চাই না এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এজন্য আগে থেকেই আমাদেরকে চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী সচেতনমূলক প্রতিকার ব্যবস্থা নিতে হবে। আমরা আল্লাহর কাছে দোয়া করি যাতে এসমস্ত বালা মুছিবত থেকে তিনি আমাদের রক্ষা করেন।
বিএসএমএমইউর ভিসি কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, করোনা ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে প্রতিরোধের বিষয়ে জোর দিতে হবে। কারণ প্রতিরোধই প্রতিকার। তাই আমরা যদি প্রতিরোধে মনোযোগ দিই তাহলে প্রতিকারের বাড়তি কোনো কিছুর প্রয়োজন হবে না। সুতরাং এ রোগের প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ অতিগুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে আমাদের সরকার সতর্কতা মূলক ব্যবস্থা নিয়েছে বন্দরগুলোতে স্ক্যানার বসিয়ে যাতে করে এ রোগ বহনকারী কেউ দেশে প্রবেশ করতে না পারে। এখন শুধু প্রয়োজন আমাদের সচেতনতা।
অনুষ্ঠানে ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ মো. ইমদাদুল হক, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ আহমেদ, অধ্যাপক ডা. আতিকুর রহমান, অধ্যাপক ডা. শামীম আহমেদ, অধ্যাপক ডা. আফজালুন নেসা, অধ্যাপক ডা. হারিসুল হক প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।
Share this content: