আন্তর্জাতিক

‘দুর্নীতি কেলেঙ্কারিতে’ দ. কোরিয়ান প্রেসিডেন্ট অভিশংসিত

 এবিএনএ : যে গুঞ্জন চলছিল, শেষ পর্যন্ত তা-ই হলো। ‘দুর্নীতি কেলেঙ্কারিতে’ জড়িয়ে অভিশংসিত হলেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট পার্ক জুন-হাই।

শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) পার্লামেন্টে ভোটাভুটি করে সংসদ সদস্যরা তাকে অভিশংসন করেন। দেশটির কয়েকজন আইনজীবী ও কর্মকর্তার বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এ খবর দিয়েছে।

পার্কের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তার বিশ্বস্ত সহযোগী চয় সুন-সিল প্রেসিডেন্টের নাম ভাঙিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে প্রভাব খাটিয়েছেন এবং অবৈধ উপায়ে অর্থ কামিয়েছেন। দুর্নীতিতে পার্কেরও ‘উল্লেখযোগ্য’ ভূমিকার ‍অভিযোগ ওঠে আদালতে।

পার্ক এসব অভিযোগ অস্বীকার করলেও সম্প্রতি রাজধানী সিউলের রাস্তায় তার পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ করে লাখো মানুষ। বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে প্রেসিডেন্ট জানিয়ে দেন, তিনি পদত্যাগ করছেন না।

তবে, ‘অতীতে যা হয়েছে’ তার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন পার্ক, একইসঙ্গে এ সংকটের সমাধানের ভার পার্লামেন্টের হাতে তুলে দেন। পার্লামেন্টে বিরোধী দলের সদস্যরা অভিশংসনের প্রস্তাব ওঠালে শেষ পর্যন্ত তা শুক্রবার পাস হয়ে যায়।

দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদমাধ্যম জানায়, পার্লামেন্টে বিরোধী দলীয় সদস্যরা প্রেসিডেন্টের অভিশংসনের প্রস্তাব ওঠালেও এতে ভোট দেয় ক্ষমতাসীন দলের অনেক সদস্যও। ভোটাভুটিতে পার্ককে অভিশংসনের পক্ষে রায় দেন ২৩৪ এমপি, তার পক্ষে ছিলেন মাত্র ৫৬ এমপি।

এই অভিশংসনের ফলে পার্ক এখন তার প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত (সাসপেন্ড) হলেন। তবে চূড়ান্তভাবে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করার সিদ্ধান্ত আসতে হবে ৯ বিচারকের সমন্বয়ে গঠিত সাংবিধানিক আদালত থেকে। পার্লামেন্টের এই অভিশংসনের সিদ্ধান্ত এখন সেই আদালতেই যাচ্ছে, সর্বোচ্চ ৬ মাসের মধ্যে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবেন ওই আদালত।

যদি আদালত পার্লামেন্টের অভিশংসনের সিদ্ধান্ত বহাল রাখেন, তবে দক্ষিণ কোরিয়ার গণতান্ত্রিক যুগের প্রথম কোনো ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতাচ্যুত হতে হবে পার্ককে।

Share this content:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button