এবিএনএ : ‘সামুদ্রিক মৎস্য আইন ২০১৭’ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। আইনে নতুন করে শাস্তি বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে।
সোমবার সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে আইনের খসড়ায় অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ১৯৮৩ সালের দ্য মেরিন ফিশারিজ অর্ডিন্যান্স এরশাদ সরকারের আমলে জারি করা। সামরিক অধ্যাদেশ বাংলায় হালনাগাদের নির্দেশনা রয়েছে। সে অনুযায়ী আইনটি বাংলায় করা হয়েছে। তাছাড়া আইনটিতে তিনটি নতুন ধারা যুক্ত করা হয়েছে। আগের চেয়ে শাস্তির পরিমাণ বাড়ানো ছাড়া আর কোনো কোনো বড় পরিবর্তন নেই। আইনে সরকার উপকূলীয় এলাকা কিংবা নদী মোহনাসংলগ্ন উপযোগী এলাকায় মেরিন জোন প্রতিষ্ঠা করার সুযোগ রাখা হয়েছে। তাছাড়া অনুমোদিত পদ্ধতিতে মৎস্যসহ সামুদ্রিক বিভিন্ন প্রজাতি চাষে অনুমতি দিতে পারবে। আধুনিক এ ধারণাটি আইনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বলেও জানান সচিব।
মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, আগের আইনে কর্তৃত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে বাধা দেওয়ার শাস্তি ছিল তিন বছরের জেল বা এক লাখ টাকা জরিমানা কিংবা উভয়দণ্ড। নতুন আইনে তিন বছর জেলের পাশাপাশি জরিমানা বাড়িয়ে ৫ লাখ টাকা করা হয়েছে।।
তিনি আরো বলেন, ইচ্ছাকৃতভাবে মৎস্য আহরণের নৌযান ইত্যাদির ক্ষতিসাধনের শাস্তি তিন বছরের জেল বহাল রেখে এক লাখ টাকা জরিমানার স্থলে ৫ লাখ টাকা করা হয়েছে। একইভাবে কোনো ব্যক্তি বা মালিক লাইসেন্সের শর্ত লঙ্ঘন করলে তিন বছরের জেল বা এক লাখ টাকা জরিমানা বা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হবে। এই বিধান বহাল রেখে জরিমানা পাঁচ লাখ টাকা করা হয়েছে।’
সচিব বলেন, আটক বা চিহ্নিতকরণ এড়ানোর জন্য প্রমাণাদি ধ্বংস করার শাস্তি ছিল তিন বছরের জেল বা এক লাখ টাকা জরিমানা বা উভয়দণ্ড। এক্ষেত্রেও তিন বছর জেল বহাল রেখে জরিমানা এক লাখের জায়গায় পাঁচ লাখ করা হয়েছে। তাছাড়া অন্যান্য শাস্তির ক্ষেত্রেও পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘নৌযানে আরোহণ করা ব্যক্তিদের সংঘটিত অপরাধের জন্য নৌযানের স্কিপার (অধিনায়ক বা ক্যাপ্টেন) দায়ী হবেন। এটার জন্য শাস্তি ছিল সর্বোচ্চ জরিমানা ৫ হাজার টাকা, কিন্তু অনুমোদিত আইনে তা বাড়িয়ে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা করা হয়েছে। শফিউল আলম বলেন, ‘আগের আইন অনুযায়ী জরিমানার ১০ ভাগের এক ভাগ টাকা দিয়ে আপসের জন্য বসতে পারতেন। প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়েছে, কমপক্ষে ৫ ভাগ টাকা পরিশোধ করে আপস করতে পারবে।’
বৈঠকে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব করা ‘শেখ হাসিনা জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউশন আইন-২০১৭’ এর খসড়ায় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।