এবিএনএ : রাজধানীর ৩৮টি সরকারি স্কুলে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তি হতে প্রতি আসনের বিপরীতে ৬ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছে। রোববার বিকেল পর্যন্ত এসব বিদ্যালয়ে প্রায় ৬১ হাজার আবেদন জমা পড়েছে। আসন সংখ্যা ১০ হাজারের বেশি। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
আগামীকাল সোমবার রাত ১২টায় শেষ হবে সরকারি স্কুলের ভর্তি আবেদন কার্যক্রম। স্বল্প ব্যয় ও শিক্ষার মানের দিক থেকে অনেকটা এগিয়ে সরকারি মাধ্যমিক স্কুল। অভিভাবকদের প্রথম পছন্দ এসব স্কুলের প্রতি। এ কারণে বছরের শেষেই সরকারি স্কুলে শুরু হয় ভর্তিযুদ্ধ।
মাউশির তথ্যমতে, সারাদেশের ৩১৬টি সরকারি স্কুলে ৬৭ হাজার ৩৯টি আসনের বিপরীতে অনলাইনে গত ১১ দিনে ২ লাখ ৭৯ হাজার ৩৫১টি আবেদন জমা পড়ছে। রাজধানীর ৩৮ স্কুলে ১০ হাজার ৫৯৫টি আসনের বিপরীতে ৬০ হাজার ৪০৩টি আবেদন জমা পড়েছে। এ হিসাবে আসনপ্রতি ৬ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছে।
সূত্র জানায়, গত ১ ডিসেম্বর রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে সারাদেশের ৩৩৫টি সরকারি স্কুলের মধ্যে ৩১৬টি স্কুলে অনলাইনে আবেদন শুরু হয়। রাজধানীর ৩৮টি সরকারি স্কুলকে বিগত বছরের মতো ‘ক’, ‘খ’ ও ‘গ’ এ তিন গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩টি স্কুলে ফিডার শাখা রয়েছে। প্রতিটি ভাগের যে কোনো একটি স্কুলে আবেদন করা যাবে। রোববার বিকেল পর্যন্ত ‘ক’ গ্রুপের ১৩টি স্কুলের ৩ হাজার ৯৯১টি আসনের বিপরীতে ১৮ হাজার ৩০২টি, ‘খ’ গ্রুপের ১৩টি স্কুলের ২ হাজার ৯৬৯টি আসনের বিপরীতে ২২ হাজার ৬৮৮টি ও ‘গ’ গ্রুপের ১২টি স্কুলের ৩ হাজার ৬৩৫টি আসনের বিপরীতে ১৯ হাজার ৪১৩টি আবেদন জমা পড়েছে।
ভর্তি নীতিমালা অনুযায়ী, এবারও সরকারি স্কুলে মোট আসনের ৫৯ শতাংশ কোটায় ভর্তি করা হবে। এগুলো হচ্ছে- স্কুলের ক্যাচমেন্ট (এলাকা কোটা) ৪০ শতাংশ, সরকারি প্রাইমারি স্কুল, মুক্তিযোদ্ধা, প্রতিবন্ধী এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও স্কুলের শিক্ষক-কর্মচারী কোটা। কোটার কারণে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সরকারি স্কুলে ভর্তির জন্য কঠিন লড়াই করতে হবে।
মাউশি সূত্র জানায়, ১ম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য আবেদনকারীদের লটারির মাধ্যমে ভর্তি করা হবে। আগামী ২৪ ডিসেম্বর শনিবার সকাল ১০টায় দিবা শাখা ও প্রাথমিক থেকে উত্তীর্ণ (ফিডার শাখাসহ) এবং একই দিন বেলা ২টায় প্রতিটি স্কুলে দিবা সিফটে (ফিডার শাখাসহ) লটারি অনুষ্ঠিত হবে। লটারির স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও মাউশির পক্ষ থেকে পৃথক টিম গঠন করা হবে। তাদের উপস্থিতিতে লটারি সম্পন্ন হবে। রাজধানীর ‘ক’ গ্রুপের স্কুলের ২য় থেকে ও ৫ম শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষা আগামী শনিবার সকাল ১০টায় এবং ৬ষ্ঠ থেকে ৮ম শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষা বেলা ২টায় অনুষ্ঠিত হবে। ‘খ’ গ্রুপের স্কুলের ২য় থেকে ও ৫ম শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষা আগামী রোববার সকাল ১০টায় এবং ৬ষ্ঠ থেকে ৮ম শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষা বেলা ২টায় অনুষ্ঠিত হবে। ‘গ’ গ্রুপের স্কুলের ২য় থেকে ও ৫ম শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষা আগামী সোমবার সকাল ১০টায় এবং ৬ষ্ঠ থেকে ৮ম শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষা বেলা ২টায় অনুষ্ঠিত হবে।
এ বিষয়ে মাউশির পরিচালক (মাধ্যমিক) অধ্যাপক মো. এলিয়াছ হোসেন বলেন, সোমবার রাত ১২টা পর্যন্ত আবেদন কার্যক্রম চলবে। গত বছরের মতো এবারো প্রায় তিন লাখ আবেদন পড়তে পারে। সুষ্ঠুভাবে ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও মাউশি’র আলাদা মনিটরিং টিম করা হয়েছে। কোথাও কোনো অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।