আন্তর্জাতিকলিড নিউজ

মিয়ানমারে মধ্যরাতের অভিযানে নিহত অর্ধশতাধিক

এবিএনএ : মধ্যরাতে নিরাপত্তা বাহিনীর নির্বিচার গুলিতে মিয়ানমারে অর্ধশতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে। জান্তাবিরোধী বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে শুক্রবার রাতভর অভিযান চালায় দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। এদিকে ভুক্তভোগী পরিবার বা স্থানীয়রা নিহত সবার মরদেহ সংগ্রহ করতে পারেনি। সেগুলোর বেশিরভাগই নিরাপত্তা বাহিনী নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিক্ষোভ দমনে জান্তা বাহিনী বন্দুকের পাশাপাশি মেশিনগানের গুলি, গ্রেনেড এবং মর্টার ব্যবহার করেছে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।

আরএফএ’র হিসাব মতে, মিয়ানমারে গত ১ ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ৬৫০ জনকে হত্যা করা হয়েছে। মার্কিন সরকারের অর্থায়নে পরিচালিত সংবাদমাধ্যম রেডিও ফ্রি এশিয়ার (আরএফএ) এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, শুক্রবার মিয়ানমারের বাগো শহরে গুলিবৃষ্টি চালিয়েছে পুলিশ ও সেনাবাহিনী। রাজপথে বিক্ষোভকারীদের ব্যারিকেডও তুলে নিয়েছে তারা।

এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, আমাদের এলাকার লোকজন জানত ওরা আসবে এবং এর জন্য রাতভর অপেক্ষা করছিল। সেনারা ভারী অস্ত্র ব্যবহার করেছে। এমনকি আমরা মর্টার শেলও পেয়েছি। মেশিনগান থেকে প্রচুর গুলি করা হয়েছে। তাজা গুলির পাশাপাশি সেনারা গ্রেনেড লঞ্চার ব্যবহার করছিল বলা হচ্ছে।

আরেক প্রত্যক্ষদর্শীর দাবি, রাস্তা ফাঁকা করতে সাধারণ পথচারীদের দিকেও গুলি করেছে সেনারা। নিরাপত্তা বাহিনী প্রায় গোটা রাত এভাবে তাণ্ডব চালানোয় হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। স্থানীয় আরেক বাসিন্দা রেডিও ফ্রি এশিয়াকে জানান, তারা রাত ৮টা পর্যন্ত মাত্র তিনটি মরদেহ সংগ্রহ করতে পেরেছেন। বাকিগুলো সেনারা নিয়ে গিয়ে জেয়ামুনি প্যাগোডা এবং কাছাকাছি একটি স্কুলে জড়ো করেছে।

এদিকে রাষ্ট্রপরিচালিত মিয়ানমার রেডিও ও টেলিভিশনের (এমআরটিভি) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার ১৯ বেসামরিক লোককে কোর্ট মার্শালের মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে জান্তা সরকার। তাদের বিরুদ্ধে গত মাসে ইয়াঙ্গুনের ওক্কালাপা এলাকায় এক সেনা কর্মকর্তাকে পেটানো এবং নির্যাতন করে আরেক ব্যক্তিকে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। ওই ১৯ আসামির নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। এদের মধ্যে ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরীও রয়েছে। তারা সবাই বর্তমানে পলাতক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button