এবিএনএ : পাকিস্তানের নতুন সেনাপ্রধান হিসেবে কামার জাভেদ বাজওয়ার নাম ঘোষণা করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ। তিনি বিদায়ী সেনাপ্রধান রাহিল শরিফের স্থলাভিষিক্ত হবেন। চলতি মাসেই রাহিল শরিফের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। ইতোমধ্যেই বিদায়ী সফর শুরু করেছেন তিনি। পাকিস্তানের মত দেশে যেখানে সেনাবাহিনীর একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে। সেখানে সেনাপ্রধান কে হবেন, সেটা খুব একটা সাধারণ ব্যাপার নয়। তার পিছনে শুধু সামরিক নয়, রাজনৈতিক বিষয়টাও বিবেচনায় থাকে। গত কয়েক মাস ধরে ভারতের সঙ্গে ক্রমশ সম্পর্ক খারাপ হয়েছে পাকিস্তানের। উরি হামলার পর পাকিস্তানে ঢুকে হামলা চালিয়েছে ভারতীয় সেনা। এরপরই চাপ বাড়তে শুরু করে নওয়াজ শরীফ ও তার সরকারের উপর। ঘরের মাটিতে ক্রমশ কোনঠাসা হয়ে পড়েন তিনি। সেনাপ্রধান নিয়োগের ভার তার হাতেই। তাই নতুন সেনাপ্রধান নিয়ে সৃষ্টি হয়েছিল নানা জল্পনা। যেহেতু পাকিস্তানে একাধিকবার সেনাপ্রধানের মেয়াদ বাড়ার নজির রয়েছে, তাই অনেকেই ভেবেছিলেন সেই পথেই হাঁটবেন শরীফ। কিন্তু সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের একটা চাপ তো ছিলই। শেষমেশ সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে দিন কয়েক আগে রাহিল শরিফ বিদায়ী সফর শুরুর কথা ঘোষণা করেন। কামার জাভেদ বাজওয়া একজন ফোর স্টার র্যাংকের আর্মি জেনারেল। বর্তমানে তিনি পাকিস্তান আর্মি হেডকোয়ার্টারের ট্রেনিং ও ডেভেলপমেন্ট বিভাগের ইন্সপেক্টর জেনারেল। লেফট্যানেন্ট কর্নেল হিসেবে জেনারেল বাজওয়া পাকিস্তানের এক্স কোরের সদস্য ছিলেন। সেখানে তিনি ছিলেন জেনারেল স্টাফ অফিসার। জেনারেল বাজওয়া নর্দার্ন এরিয়ার ফর্মেশন ডিভিশনে কমান্ডার হিসেবে কাজ করেছিলেন। কঙ্গোতে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীবাহিনীর অংশ হয়ে ব্রিগেডিয়ার হিসেবে কাজ করেছেন বাজওয়া। কয়েক বছর আগে গিলগিট-বালতিস্তানে ফোর্স কমান্ডার হিসেবে কর্মরত ছিলেন তিনি। ২০১১-র আগস্টে হিলাল-ই-ইমতিয়াজ পুরস্কার দেয়া হয় তাকে। বালোচিস্তানের কোয়েটায় ইনফ্যান্টরি স্কুল কমান্ড্যান্ট হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। সেখানে বহু অফিসারকে ট্রেনিং দিয়েছিলেন বাজওয়া। বালোচ রেজিমেন্টের সদস্য হওয়ায় কাশ্মীর ইস্যু তার নখদর্পণে। মূলত এসব বিষয় বিবেচনা করেই তাকে সেনাপ্রধান করা হয়েছে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা।