এবিএনএ : পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহারের নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বুধবার সচিবালয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গা ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহর সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ কথা জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, সভায় তিনি পরিবহন মালিক এবং শ্রমিকদের জনভোগান্তি নিরসনে ধর্মঘট প্রত্যাহারের আহ্বান জানান। নেতৃবৃন্দ মন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, পরিবহন ধর্মঘটের কারণে জনদুর্ভোগ দেখছি। মানুষ কষ্ট পাচ্ছে। এ সম্পর্কিত মন্ত্রী হিসেবে আমার একটা দায় আছে। আমি দায় এড়াতে পারি না। আমরা সরকারের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে ধর্মঘট প্রত্যাহারের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আজকের মধ্যেই এ বিষয়ে ফলাফল দেখা যাবে। একজন দু’জন তো (ধর্মঘট প্রত্যাহারের) আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিতে পারেন না। প্রত্যেকটি সংগঠনের একটা নিয়ম আছে। তারা বসেই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই বসব। আই অ্যাম শিউর, আজকের মধ্যে ইনশাআল্লাহ সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, জনগণকে জিম্মি করে এমন পরিস্থিতি তৈরি করা ঠিক নয়। তাদের কোনো কিছু বলার থাকলে উচ্চ আদালতে যেতে পারতো।
সড়ক দুর্ঘটনায় তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীরের মৃত্যুর জন্য দায়ী বাসচালককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়ে গত সপ্তাহে মানিকগঞ্জের আদালতে রায়ের পর থেকে শ্রমিকরা বিক্ষোভ শুরু করেন। এর পর সাভারে এক নারীর ওপর ট্রাক তুলে হত্যার অপরাধে আরেক চালকের মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার পর শুরু হয় দেশজুড়ে আকস্মিক ধর্মঘট। রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের জনজীবনে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়। ঢাকার সঙ্গে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে পুরো দেশ।