এবিএনএ : বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভি বলেছেন, নাজেহাল করতেই বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে প্রতি সপ্তাহে একবার অথবা দুই বার আদালতে উপস্থিত থাকতে বাধ্য করা হচ্ছে। এটা সরকার প্রধানের প্রতিহিংসার বর্ধিত প্রকাশ। পৃথিবীর কোনো দেশে এমন নজির নেই। যারা এ নাজেহালের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকছেন তাদের উপলব্দি করা উচিত এ সরকারই শেষ সরকার নয়। তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, বয়োজৈষ্ঠ্য রাজনীতিবিদ, কোটি কোটি মানুষের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে এহেন আচরণ অসদাচারণেরই সামিল।
আজ শুক্রবার দলের নয়া পল্টন অফিসে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন। রিজভি বলেন, দেশের বিভিন্ন বাহিনী সমূহের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলো পরিদর্শন করছেন বাংলাদেশে দায়িত্বপ্রাপ্ত বর্তমান সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ট একটি দেশের কূটনীতিকরা। এটি কিসের আলামত। সরকার নিজেকে টিকিয়ে রাখার জন্য অন্য দেশের সমর্থন নিতে গিয়ে দেশের স্বাধীনতা ও স্বার্বভৌমত্বের পরিণতি এখন বিষম দূর্বিপাকের মধ্যে। ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য পরনির্ভরশীলতার কারণেই প্রভুদের কাছে রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তাকে উম্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে। দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বিদেশি
কূটনীতিকের পরিদর্শন কি অজানা চুক্তির বহিঃপ্রকাশ? সামগ্রিকভাবে মনে হচ্ছে আমাদের সকল সরকারি প্রতিষ্ঠানকে পার্শ্ববর্তী দেশের এক্সটেনশনে পরিণত করার উদ্যেগ চলছে। প্রতিবেশী দেশকে খুশি করার জন্য নানা উপহারে ভুষিত করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে বাংলাদেশ থেকে পাট ও পাটজাত দ্রব্যসহ ছয়টি পণ্য রফতানি হতো । একতরফাভাবে
বাংলাদেশের পাট ও পাটপণ্যের ওপর ভারতের অ্যান্টি ডাম্পিং শুল্ক আরোপের ভারতে পাট রফতানি বন্ধ হয়ে পড়ছে। গত ৫ জানুয়ারি ভারত সরকার এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারির পর থেকে পাট ও পাটপণ্য রফতানি আটকে গেছে। এই নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন রফতানিকারকরা। এব্যাপারে তাবেদার সরকারের কোন পদক্ষেপ চোখে পড়ছে না। উল্টো তাবেদার সরকার হাজার হাজার কোটি ব্যয় করে সড়ক মহাসড় তৈরি করে প্রতিবেশী দেশের পণ্য পরিবহনে সুবিধা করে দিচ্ছে।
রিজভি বলেন, জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ধ্বংস করার জন্য এ সরকার শুরু থেকে জিয়া পরিবারকে টার্গেট করেছে। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের বাড়ি কেড়ে নেয়া থেকে শুরু করে একের পর এক বিএনপি চেয়ারপারসন সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া, বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে বিপর্যস্ত করার জন্য এহেন প্রচেষ্টা নেই যা সরকার করছে না। আদালতের মাধ্যমে বিচারিক প্রক্রিয়ার নামে জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে অমানবিক আক্রমণ চালানো হচ্ছে।