এবিএনএ : বিশ্বের সাতটি মুসলিম প্রধান দেশের শরণার্থী ও অভিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইরান, ইরাক, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান ও ইয়েমেনের শরণার্থী ও অভিবাসীদের জন্য ৯০ দিনের জন্য এবং সিরীয়দের ক্ষেত্রে অনির্দিষ্টকালের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা বন্ধ থাকবে।
এ নিষেধাজ্ঞার মধ্যে পাকিস্তানের নাম নেই। তবে আন্তর্জাতিকভাবে সন্ত্রাসীদের আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে অনেক আগে থেকেই পরিচিতি পেয়েছে পাকিস্তান। হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা ইঙ্গিত দিয়েছেন, পাকিস্তানসহ আরো বেশ কিছু দেশের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আনা হতে পারে। হোয়াইট হাউসের তরফ থেকে এমন ইঙ্গিতের পর যুক্তরাষ্ট্রে সফরের বিষয়ে বেশ আতঙ্কে রয়েছেন পাকিস্তানের নাগরিকরা। অনেকেই দেশটিতে ভ্রমণের পরিকল্পনা বাতিল করছেন।
মার্কিন গ্রিনকার্ডধারী তানিয়া (২৩) দুবাইয়ে এসেছিলেন তার বাবার সঙ্গে দেখা করতে। সামনের সপ্তাহে তার জন্মদিন। এ উপলক্ষেই তার দুবাইয়ে আসা। আরো পরে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যাওয়ার কথা থাকলেও সোমবারই তিনি যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে পাড়ি দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রে না পৌঁছানো পর্যন্ত পুরোটা পথই তার আতঙ্কে কাটবে। তিনি এখনো জানেন না ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞার মধ্যে তিনিও পড়বেন কিনা। তাকেও যদি বিমানবন্দরে আটকে দেয়া হয় তবে কি করবেন তিনি? এমনটা ভাবতেই পারছেন না।
কানাডায় পড়াশোনা করছেন পাকিস্তানের হায়া (১৯)। এ বছর বসন্তের ছুটিতে ওয়াশিংটনে যাওয়ার ইচ্ছা ছিল তার। কিন্তু বিমানবন্দরে আটকে যাওয়ার ভয়ে সে পরিকল্পনা মাথা থেকে বাদ দিতে হয়েছে। হায়া জানিয়েছেন, ওয়াশিংটনে তার খালার কাছে বেড়াতে যেতে চেয়েছিলেন। যে কোনো সময় যদি পাকিস্তানের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আনা হয় সেই ভয়েই ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা বাদ দিতে হলো। ক্ষোভ প্রকাশ করে হায়া বলছিলেন, ‘আমি বহুদিন ধরে বাড়ির খাবার খাই না। ট্রাম্পের জন্য সব কিছু ভেস্তে গেছে।’