এ বি এন এ : জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ৪ জন নিহত ও গুলিবিদ্ধসহ ৩০ জন আহত হয়েছেন।
শনিবার পঞ্চম ধাপের ইউপি নির্বাচনে উপজেলার বাহাদুরাবাদ ইউনিয়নের খোটারচর ইবতেদায়ী মাদ্রাসা কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- শেখপাড়া গ্রামের আফজাল হোসেনের ছেলে অষ্টম শ্রেণির ছাত্র মাজেদ, একই গ্রামের সাত্তারের ছেলের নুরুল ইসলাম (২০), পুতুবের চর গ্রামের আমজাদ হাজির ছেলে নবম শ্রেণির নবীরুল ইসলাম ও একই গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে জিয়া (২৫)।
সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধসহ ৩০ আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে পাঁচ পুলিশ ও এক আনসার সদস্য রয়েছেন।
গুলিবিদ্ধ ৫ জন হলেন- আফতাব, মাহমুদুর, খুদু মিয়া, সখিজল শফিক, জাকিউল। তাদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছে, সকালে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী সাকিরুজ্জামান রাকার সমর্থকরা কেন্দ্র দখল করতে চাইলে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী শাহজাহান মিয়ার সমর্থকরা বাধা দেন। এতে উভয় প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও নিহত মাজেদের চাচা আবুল কালাম জানান, আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থকরা কেন্দ্র দখলে আসলে বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকরা বাধা দেয়। এ সময় তাদের এলোপাতাড়ি গুলিতে ওই চারজন নিহত হন।
জামালপুর পুলিশ সুপার নিজাম উদ্দিন নিহতের ঘটনা নিশ্চিত না করলেও সংঘর্ষের ঘটনা স্বীকার করেছেন। তিনি জানান, এ সময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শতাধিক রাইন্ড শটগানের গুলি বর্ষণ করে।
জবাবে বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকরা পুলিশ ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সমর্থকদের লক্ষ্য করে তীরধনুক ছুড়ে। সংঘর্ষে পাঁচ পুলিশ ও এক আনসার সদস্যসহ আহত হয়েছেন বলে জানান তিনি।
গুরুতর আহত পুলিশের এএসআই হান্নান, কনসস্টেবল সোলায়মান ইব্রাহিমকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত অন্যরা দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও জামালপুর হাসাপতালে ভর্তি হয়েছেন।
এদিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সাইফুল ইসলাম ওই কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন।