এ বি এন এ : সংগঠন হিসেবে যুদ্ধাপরাধের দায়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে আইনি প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘জামায়াত নিষিদ্ধ করবেন কি করবেন না সেটা আদালতের ব্যাপার। তবে আমার কাজ হচ্ছে এমন আইন করে দেওয়া যাতে যুদ্ধাপরাধের দায়ে সংগঠন হিসেবে জামায়াতের বিচার হয়। সেই আইনটা এখন মন্ত্রিসভার অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।’
জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে আইনমন্ত্রী আরো বলেন, ‘১৯৭৩ সালের আইনটি সংশোধন করা উচিত। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল দুটো রায়ের মধ্যে পর্যবেক্ষণে সংগঠন হিসেবে জামায়াতের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধ খতিয়ে দেখতে বলেছেন।’
আনিসুল হক বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৭৪ সালের ৪ নভেম্বর যে সংবিধান উপহার দিয়েছিলেন, সেই সংবিধানে পরিষ্কারভবে লেখা ছিল- ধর্মভিত্তিক কোনো রাজনৈতিক দল হতে পারবে না। জামায়াত সেই সময় এক্সিস্ট করত না। ১৯৭৩ সালে যখন আইন করা হয়, তখন জামায়াতের কোনো অস্তিত্ব ছিল না। তাই কোনো দলকেই এই আইনের আওতায় বিচার করার ক্ষেত্রে কোনো প্রহিবিশনও ছিল না। যখন আন্তর্জাতিক অপরাধ টাইব্যুনাল রায়ে অবজারভেশন দিয়েছেন, সেই ক্ষেত্রে এর একটা বিধি-ব্যবস্থা করা উচিত। এই চিন্তায় এবং জনগণের দাবির বিষয়টি মাথায় রেখে আমরা এই আইনের কিছু সংশোধন করছি।
ছাত্রশিবির নিষিদ্ধের ব্যাপারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কী বলেছেন, তা আমার জানা আছে। কীভাবে ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ করা যায় আমি তার (স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী) সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি।’
যুদ্ধাপরাধীদের সম্পত্তির বিষয়, দুই মন্ত্রীর শপথ ভঙ্গ, জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ, প্রধান বিচারপতির বক্তব্য, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, মামলার জটসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক।