এ বি এন এ : সমস্যাটা ত্রিভুজ। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া চাচ্ছে এই গ্রীষ্মে দক্ষিণ আফ্রিকার সাথে দেশের মাটিতে গোলাপি বলে দিবারাত্রির টেস্ট খেলতে। কিন্তু অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার খেলোয়াড়রা খেলতে চাচ্ছেন না। আর এই প্রথম অস্ট্রেলিয়ার খেলোয়াড় হয়েও সহ-অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার প্রকাশ্যে দিবারাত্রির টেস্টের বিরুদ্ধে দাঁড়ালেন। বললেন, দিবারাত্রির টেস্ট খেলার আইডিয়া ভালো। কিন্তু বলের উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত খেলা ভালো না।
“ধারণাটা দারুণ। দেখার জন্যও ভালো। কিন্তু আমরা যারা খেলি তাদের জন্য সঠিক বলে খেলটা আসল। ওয়ার্নার বলেছেন, “এটা লাল বলের খেলা না বলে কথা হবেই। লাল বলের মতো এটা শাইন করা যায় না। টেস্টে ফিল্ডিংয়ের সময় লাল বল ঠিকভাবে ব্যবহার করতে হয়। সুইং করানো জরুরি থাকে। কিন্তু শাইন ফিরে আসে না বলে গোলাপি বলে তা সম্ভব হয় না।” ব্যাটসম্যানের দৃষ্টিকোণ থেকে ওয়ার্নার বলেছেন, “গত বছর ব্যবহৃত বলে সিম দেখার কোনো উপায় ছিল না। ব্যাটসম্যানের জন্য সিম দেখা দরকারি। বল কাছে আসতে আসতে সিম দেখে ঠিক করা যায় কোনদিকে এটা সুইং করবে।”
পাকিস্তান বছরের শেষ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দিবারাত্রির টেস্ট খেলতে রাজি হয়েছে। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকা এখনো রাজি না। আর ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী জেমস সাডারল্যান্ডের কথার মানে গোলাপি বলের টেস্ট হতেই হবে। ইতিহাসের প্রথম দিবারাত্রির টেস্টটি গত বছরের শেষে আ্যাডিলেডে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড খেলেছে। প্রোটিয়াদের সাথে গোলাপি বলের টেস্ট খেলতে কতোটা আগ্রহী ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া তা বোঝা যায় সাডারল্যান্ডের কথায়, “উদাহরণ হিসেবে ওয়ানডে ক্রিকেটের কথা বলছি। আযোজক হিসেবে ওয়ানডে ম্যাচটা সকাল ১০টায় শুরু হবে না দুপুর ২:৩০ মিনিটে তা আমাদের ব্যাপার। এ নিয়ে অন্য কারো কিছু বলার নেই। তাহলে টেস্ট ম্যাচের বেলায় কেন একই কাজ আমরা করতে পারবো না?”