এ বি এন এ : একসময় বিকেল হলে ছেলে বুড়ো সবাই মাঠে যেত খেলাধুলার জন্য। একপাশে খেলতো বড়রা, অন্যপাশে ছোটরা। কোনো ধরনের রোগব্যাধি সহজে তাদেরকে কাবু করতে পারতো না। এখন আর আগের মতো মাঠও নেই, খেলাধুলার সময়ও নেই। যাপিতজীবনে সবাই ব্যস্ত।
এজন্য ঘরে বসে করার মতো কিছু ব্যায়াম নিয়ে আমাদের ধারাবাহিক আয়োজন ‘ইয়োগা ও বজ্রপাণ’। ইয়োগা ও বজ্রপ্রাণের আসন আপনি ঘরে একা কিংবা পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে করতে পারেন।
ইয়োগা ও বজ্রপ্রাণের ধারাবাহিক আয়োজনের আজ দ্বিতীয় পর্বে থাকছে ‘ত্রিভুজ বা ত্রিকোণ আসন’।
প্রথমে সোজা হয়ে দাঁড়ান। এবার দুই পা উচ্চতা অনুযায়ী দুই থেকে তিন ফুট পরিমাণ ফাঁক করুন। এরপর হাত দুটো শরীরের দুপাশে কাঁধ বরাবর সমান্তরাল রাখুন। হাতের তালু থাকবে নিচের দিকে।
এবার দম নিতে নিতে পা থেকে কোমর পর্যন্ত শরীর সোজা রেখে আস্তে আস্তে বাম দিকে বাঁকা করে বাম পায়ের পাতা স্পর্শ করার চেষ্টা করুন। খেয়াল রাখুন যেন হাঁটু না ভাঙে। এ সময় দৃষ্টি থাকবে ডান হাতের তালুর দিকে। সোজা হওয়ার সময় দম মুখ দিয়ে দম ছাড়ুন।
শরীরের ওপর খুব বেশি চাপ প্রয়োগ করে কোনো ব্যায়াম করতে যাবেন না। সহজভাবে যতটুকু হাত যায় ততটুকুই রাখুন। কিছুদিন অভ্যেস করলে আসনটি সঠিক ভঙ্গিমায় করতে পারবেন।
একই নিয়মে এবার ডান দিকে করুন। একবার ডানে আর একবার বামে মিলে হয় এক প্রস্থ। এভাবে ৩ থেকে ৫ প্রস্থ করতে পারেন।
প্রত্যেক পাশে অবস্থানে সময় নিন ৫ থেকে ১০ সেকেন্ড। যেদিকে বাঁকাবেন সেদিকের হাত নিচে ও অপর হাত মাথার ওপরে তুলে রাখুন। দৃষ্টি থাকবে ওপরের হাতের আঙুলে।
উপকারিতা
* এ আসনটি কোমরের চর্বি কমিয়ে কোমরকে সরু ও সুন্দর করে তোলে।
* মেরুদন্ডে আড়াআড়ি টান পড়ায় মেরুদন্ড নমনীয় থাকে।
* পিঠের মাংসপেশীকে মজবুত রাখে। ফলে পিঠে ব্যথা-বেদনা হতে পারে না।
* সায়াটিকা রোগ প্রতিরোধ করে।
* হাত পা বুক পিঠের গঠন সুন্দর করে।
* কিডনিতে রক্ত চলাচল বাড়ে। ফলে কিডনির কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
লেখক: ইয়োগা ও বজ্রপ্রাণ প্রশিক্ষক, বাংলাদেশ ব্যুত্থান ফেডারেশন।