এ বি এন এ : ইউরোপীয় ইউনিয়নের ঐক্য কিভাবে ধরে রাখা যায় তা নির্ধারণে আজ বৈঠকে বসছে জার্মানি, ফ্রান্স ও ইতালির নেতারা। ইতালির নেপলসে আজ এ বৈঠক আহ্বান করেছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী মাত্তিও রেনজি। এতে উপস্থিত থাকার কথা জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মারকেল ও ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওঁলাদের। বৃটেন ইইউ ছেড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়ার পর ইউরোপীয় জোনের বৃহৎ তিন অর্থনীতির দেশের মধ্যে এটা হচ্ছে এ ধরণের দ্বিতীয় দফার বৈঠক। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। এতে বলা হয়েছে, ব্রেক্সিট ভোটের কি প্রভাব পড়বে তা নিয়ে আগামী সেপ্টেম্বরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সম্মেলন হওয়ার কথা রয়েছে। তার আগেই নেপলস দ্বীপের উপকূলে আজ কৌশল শাণিয়ে নেবেন তিন নেতা মাত্তিও রেনজি, অ্যাঙ্গেলা মারকেল ও ফ্রাঁসোয়া ওঁলাদে। এ বিষয়ে মাত্তিও রেনজি রোববার বলেছেন, তারা নেপলসের আজকের বৈঠকে ইউরোপকে কিভাবে আরও সামনে তুলে ধরা যায় তা নিয়ে আলোচনা করবেন। ইউরোপের পুনর্যাত্রা পুরোপুরি একটি ‘ওপেন গেম’। কিন্তু এই গেম খেলতে হবে। তবে নেদারল্যান্ডসকে নিয়ে আতঙ্কে রয়েছে ব্রাসেলস ও বার্লিনের কর্মকর্তারা। তারা মনে করছেন, ২৩শে জুন ব্রেক্সিট নামের গণভোটের ফলে নেদারল্যান্ডেও গণভোট হতে পারে ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাকা না থাকা নিয়ে। এ দেশটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। তাই ফরাসি এক কূটনৈতিক সূত্র বলেছেন, ইউরোপের তিনটি বৃহৎ দেশ আজ তাদের ঐক্য প্রদর্শন করবেন। তবে তারা বিশেষ কোন ক্লাব গঠন করবেন না। অর্থাৎ তারা আলাদা কোন বিশেষ ক্লাব সৃষ্টি করবেন না। আগামী মাসে ব্রাতিসøাভাতে ইইউয়ের যে সম্মেলন হবে তার প্রস্তুতি পর্ব আজকের বৈঠক। ব্রেক্সিট গণভোটের পর ইইউয়ের অস্তিত্ব নিয়ে যখন ঝুঁকির কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা তখন অ্যাঙ্গেলা মারকেল চাইছেন উন্নততর ইউরোপের বন্ধন দৃঢ় করতে। মাত্তিও রেনজি চাইছেন, বেক্সিট পরবর্তী সময়ে ইইউয়ের ভবিষ্যত কেমন হবে সে বিষয়ে ইতালির বলিষ্ঠ ভূমিকা। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ওঁলাদে চাইছেন, ইইউতে বিনিয়োগ দ্বিগুণ বিনিয়োগ পরিকল্পনা।