এ বি এন এ : আসামের কাজিরাঙ্গা ন্যাশনাল পার্কের আশপাশের এলাকাগুলোর বাসিন্দারা সেখান থেকে অন্যত্র চলে যাবার আগে ক্ষতিপূরণের দাবিতে সোমবার বিক্ষোভ করলে পুলিশ তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এই ঘটনায় ২ জন নিহত ও অপর ৫ জন আহত হয়েছে।
গত বছর গুয়াহাটি হাইকোর্টের এক নির্দেশের ভিত্তিতে আসাম সরকার নাগাওঁ জেলার কালিয়াবোর সাব ডিভিশনের আওতাধীন বান্দেরদুবি ও দেওচুর্চাঙ্গ এলাকাগুলোর বাসিন্দাদেরকে সেখান থেকে উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
সেখানকার বাসিন্দারা ক্ষতিপূরণ না পাওয়া পর্যন্ত সেখান থেকে অন্যত্র চলে যেতে অস্বীকৃতি জানানোর পর আসাম সরকার এ সিদ্ধান্ত নেয়।
বান্দেরদুবি থেকে ১৯০টি পরিবার এবং দেওচুর্চাঙ্গ থেকে ১৬০টি পরিবারকে সেখান থেকে অন্যত্র সরিয়ে ফেলা হচ্ছে। এ সময় ওই এলাকাদুটিতে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। কিন্তু আজ সকালে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বিক্ষোভকারীরা ওই এলাকা ছেড়ে যেতে অস্বীকৃতি জানায়। তারা রাস্তার ওপর বসে পড়ে এবং পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়ে মারে।
বিক্ষোভকারীরা জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তাদের অনুরোধ উপেক্ষা করে ওই এলাকা ছাড়তে অস্বীকৃতি জানালে নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা তাদের ওপর লাঠিচার্জ করে এবং কাঁদানে গ্যাস ও গুলি বর্ষণ করে। এই ঘটনায় এক নারীসহ দুই জন নিহত হযেছে। নিহতরা হলেন- আঞ্জুমা খাতুন ও ফখরুদ্দিন।
পুলিশের গুলিতে আহত পাঁচ জনকে জাখালাবান্ধা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে এখনো উত্তেজনা বিরাজ করছে। তবে তা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ। উচ্ছেদ অভিযান এখনও অব্যহত রয়েছে।