এবিএনএ : দীর্ঘদিন ধরে ঢাকাই চলচ্চিত্র এবং টেলিভিশনের জনপ্রিয় অভিনেত্রীর আসন দখলে রেখেছেন অভিনেত্রী সুবর্ণা মুস্তাফা। জনপ্রিয় বহু নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি। টিভি নাটকের পাশাপাশি তার সরব উপস্থিতি রয়েছে চলচ্চিত্রেও। এছাড়া ঢাকা থিয়েটারের নিয়মিত শিল্পী তিনি।
বহুমুখী প্রতিভাবান এই শিল্পী অতীতকে আঁকড়ে ধরে থাকতে চান না। বরং তিনি বর্তমানে বিশ^াসী। সুবর্ণা মনে করেন, যদি কেউ ঘন ঘন তার অতীতকে মনে করতে থাকে, তাহলে সামনের দিনগুলোতে আসা সফলতাকে ধরতে পারবে না। এখনো আমার অনেক পুরনো বন্ধু রয়েছে। সেই সঙ্গে নতুন শিল্পীরাও আমার খুব ভালো বন্ধু। যদি আপনি নতুন চিন্তা এবং ধারণা নিয়ে ব্যস্ত থাকেন তাহলে অতীত নিয়ে পড়ে থাকার সময় কোথায়?
টেলিভিশন জগতের নতুন শিল্পীদের নিয়েও আশাবাদী সুবর্ণা। তিনি বলেন, ‘আমি নতুন শিল্পীদের নিয়ে আশাবাদী। তারা জীবনের অনেক ক্ষেত্রেই সফল। পুরানোদের সময় শেষ। এখন আমাদের উচিত নতুনদের জন্য সুযোগ করে দেয়া।’
অভিনেত্রী সুবর্ণা মুস্তাফা বর্তমানে সেন্সর বোর্ডের একজন সদস্য হিসেবে কাজ করছেন। চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘ভালো সিনেমা নির্মাণ অবশ্যই সম্ভব। কিন্তু সেই জন্য নতুন পরিচালকদের নতুন ধারণা নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। একটি ভালো চলচ্চিত্র নির্মাণে অনেকগুলো বিষয় কাজ করে। যেমন- শক্তিশালী স্ক্রিপ্ট, বাজেট, পারিপাশির্^ক অবস্থা, প্রেক্ষাগৃহ এবং সর্বোপরি একাগ্রতা। আপনি দেখবেন কলকাতার সিনেমা নির্মাতারা এখন বেশ ভালো করছে। আমাদের সিনে জগতের গৌরবময় ইতিহাস রয়েছে। আমরাও ভালো কিছু করতে পারি। সেজন্য প্রয়োজন ভালো উদ্যোগ। লক্ষ্য করবেন এর মধ্যেই কিছু ভালো সিনেমা নির্মিত হচ্ছে।’
ভালো সিনেমা নির্মিত হচ্ছে না, এজন্য অনেকে দর্শকদের প্রেক্ষাগৃহ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়াকে দায়ী করছেন। এই প্রসঙ্গে সুবর্ণা বলেন, ‘আমি এজন্য কখনোই দর্শককে দোষ দেয়ার পক্ষাপাতী নই। আমাদের দর্শককে বোকা ভাববেন না। যদি ভালো সিনেমা নির্মিত হয়, তাহলে দর্শকরা অবশ্যই প্রেক্ষাগৃহে যাবে। তাদের জন্য সিনেমা দেখার উপযুক্ত পরিবেশের ব্যবস্থা করলে তারা অবশ্যই প্রেক্ষাগৃহে যাবে। এছাড়া প্রেক্ষাগৃহের সংখ্যাও বাড়াতে হবে।’
এছাড়া অভিনয়ের পাশাপাশি ইদানিং ক্রিকেটের ধারাভাষ্য দিচ্ছেন সুবর্ণা। সেটি নাকি দারুণ উপভোগও করছেন তিনি।