জাতীয়বাংলাদেশলিড নিউজ

সব জল্পনা-কল্পনা ঠেকিয়েই কোভিডে এখন নিরাপদ বাংলাদেশ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

এবিএনএ : স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক,এমপি বলেছেন,‘ গত মার্চ মাসে কোভিড যখন দেশে প্রথম চলে আসে তখন নানা মানুষ নানারকম জল্পনা কল্পনা শুরু করতে থাকে।তখন বলা হতো বাংলাদেশে মানুষের লাশ রাস্তায় পড়ে থাকবে। করোনায় লক্ষ লক্ষ মানুষ মারা যাবে। অথচ বাংলাদেশে কোভিডে আক্রান্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার বিশ্বের সবচেয়ে কম দেশের কাতারেই রয়েছে।

ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাম্পেইন উদ্বোধনকালে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন আরও বলেন, ‘আজকের প্রতিটি সুস্থ শিশুই আগামী দিনের উজ্জ্বল বাংলাদেশের কান্ডারি হবে। আজকের শিশুকে টিকা দিলে সেই সন্তান ভবিষ্যতের সুস্থ ও মেধাবী সন্তান হবে। এই সন্তান ভবিষ্যত বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিবে। একইভাবে এই টিকা না দেয়া হলে সন্তান নানা রোগে রোগাক্রান্ত হতে পারে। সন্তান হাবা-গোবা,বেটে হতে পারে। একটি রোগাক্রান্ত সন্তান একটি পরিবারের জন্য অনেক কষ্টের কারণ। তাই দেশে একটি শিশুও যেন রোগাক্রান্ত হয়ে না জন্মায় সেদিকে সরকার যে সকল উদ্যোগ গ্রহণ করছে তা আমাদের সবাইকে বাস্তবায়ন করতে হবে। প্রতিটি এলাকার মায়েদের টিকাদান কেন্দ্রে পাঠাতে উদ্ধুদ্ধ করতে হবে।’

অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরো জানান, আজ থেকে (৪ অক্টোবর) ১৭ অক্টোবর সারা দেশর সকল ইপিআই টিকাদান কেন্দ্র,কমিউনিটি ক্লিনিক এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র সমূহে ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।মন্ত্রী মায়েদের উদ্যেশ্য করে জানান,শিশুর জন্মের পর প্রতিটি মা’কে এক ঘন্টার মধ্যে শাল দুধসহ মায়ের বুকের দুধ খাওয়াতে হবে।জন্মের ৬ মাস পর্যন্ত কেবল মায়ের বুকের দুধই খাওয়াতে হবে।শিশুর বয়স ৬ মাস পার হলে তখন মায়ের দুধের পাশাপাশি শিশুকে অন্যান্য খাবার দিতে হবে।

উল্লেখ্য, টিকাদান ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে দেশের ৬ মাস থেকে ১ বছরের কম বয়সী প্রায় ২৭ লক্ষ শিশুকে নীল রঙের ১ টি করে ভিটামিন এ ক্যাপসুল এবং ১ বছর থেকে ৫ বছর বয়সী প্রায় ১ কোটি ৯৩ লক্ষ শিশুকে লাল রঙের ১ টি করে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার স্থায়ী ইপি আই টিকাদান কেন্দ্র,কমিউনিটি ক্লিনিক এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।

স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম, জাতীয় টেকনিক্যাল কমিটির সভাপতি প্রফেসর ডা. শহীদুল্লাহ ,লাইন ডিরেক্টর মুস্তাফিজুর রহমানসহ অন্যান্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

Share this content:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button