আন্তর্জাতিকলিড নিউজ

বৃষ্টি উপেক্ষা করেই হংকংয়ে বিক্ষোভ

এবিএনএ: বৃষ্টি উপেক্ষা করেই রোববার হংকংয়ে সরকার বিরোধী বিক্ষোভে যোগ দিতে হাজার হাজার লোক জড়ো হয়েছে। এক দিন আগে পুলিশের সঙ্গে হওয়া সংঘাতকে ভুলে ছাতা মাথায় নিয়েই ‘এক দেশ দুই ব্যবস্থা’ নীতি বহালের দাবিতে বিক্ষোভে নেমেছেন তারা।জনসমাবেশ এড়াতে  রোববার হংকংয়ের রেলকর্তৃপক্ষ এমটিআর কর্পোরেশন কয়েকটি ট্রেনের যাত্রা বাতিল করেছে। তবে বিক্ষোভকারীরা খেলার মাঠে জড়ো হয়ে কাছের টিসুয়েন ওয়ান এলাকার দিকে র‌্যালি করেছে।

এম,সাং নামে ৫৩ বছরের এক সফটওয়্যার প্রকৌশলী জানান, তিনি প্রত্যেকটি প্রতিবাদ সমাবেশে যোগ দিয়েছেন এবং আসা অব্যাহত রাখবেন। তিনি বলেন, ‘আমরা জানি এক দেশ দুই ব্যবস্থার পক্ষে লড়ার এটি শেষ সুযোগ। অন্যথায় চীনা কমিউনিস্ট পার্টি আমাদের শহরে নাক গলাবে এবং সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করবে।’ সাং বলেন, ‘আমরা যদি মনকে শক্ত রাখি, তাহলে আমরা ন্যায়বিচার ও গণতন্ত্রের জন্য এই আন্দোলনকে টিকিয়ে রাখতে পারব, এটা বৃথা যাবে না।’

অপরাধী প্রত্যর্পণ বিল বাতিলের দাবিতে গত জুনে হংকংয়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। প্রধান নির্বাহী ক্যারি ল্যাম বিলটিকে ‘মৃত’ ঘোষণা করলেও বাতিল না করায় বিক্ষোভকারীরা ফুঁসে ওঠে। পরে তারা নতুন জাতীয় নির্বাচন ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে। বিক্ষোভকারীদের দমনে এবং পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকারের পক্ষ থেকে অবসরপ্রাপ্ত এক পুলিশ কর্মকর্তাকে বাহিনীতে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।

শনিবার কৌন টং শিল্প জেলায় বিক্ষোভকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে পেট্রোল বোমা ও ইট ছুঁড়েছে। পুলিশ এ ঘটনায় শনিবার রাতে ২৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। গত জুনে আন্দোলন শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ৭০০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এদিকে পুলিশের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়েছে, তারা শিগগিরেই ‘ছত্রভঙ্গ অভিযান’ শুরু করবে। এতে বলা হয়েছে, ‘কিছু চরমপন্থী বিক্ষোভকারী রেলপথ উপড়ে ফেলেছে..এবং পানিপূর্ণ প্রতিবন্ধক, বাঁশের লাঠি, ট্রাফিক গোঁজ ও অন্যান্য বস্তু দিয়ে ব্যারিকেড দিয়েছে। এ ধরণের কর্মকাণ্ড  নাগরিকদের নিরাপত্তা ও সড়ক ব্যবহারকে অবজ্ঞা করবে এবং দৃশ্যত ট্রাফিক ব্যবস্থাকে অচল করে ফেলবে।’

Share this content:

Related Articles

Back to top button